

ফের দেশজুড়ে আন্দোলনে নামতে চলেছেন কৃষকরা। আগামী ১১-১৭ এপ্রিল এমএসপির আইনি নিশ্চয়তা সপ্তাহ পালন করা হবে। সোমবার সংযুক্ত কিষান মোর্চা এমনটাই জানিয়েছে। তার আগে আগামী ২১ মার্চ লখিমপুর খেরির কৃষক হত্যাকাণ্ডে সরকারের ভূমিকার প্রতিবাদে বিক্ষোভে শামিল হবেন তারা। ২৮-২৯ মার্চ ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকে ভারত বনধে অংশ নেবে মোর্চা।
দিল্লির গান্ধী পিস ফাউন্ডেশনে সংযুক্ত কিষান মোর্চার বৈঠকে অংশ নেন বিভিন্ন রাজ্যের কৃষক নেতারা। বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, গত বছরের ৯ ডিসেম্বর কেন্দ্র লিখিত আশ্বাস দিয়ে চিঠি দিয়েছিল। ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করতে কমিটি গঠন করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সরকার পদক্ষেপ করেনি। এমনকী, কোনও কমিটিও গড়া হয়নি।
গত বছরের ১৯ নভেম্বর তীব্র আন্দোলনের চাপে পড়ে তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করে কেন্দ্র। কিন্তু সংসদে আইন বাতিল ও ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করার জন্য আইনের দাবিতে কৃষকরা আন্দোলন চালিয়ে যান। এরপর কমিটি করার আশ্বাস দিয়ে কেন্দ্র ৯ ডিসেম্বর চিঠি পাঠালে আন্দোলন তুলে নেন কৃষকরা।
এমএসপির আইনি নিশ্চয়তা সাপ্তাহে এসকেএমের সব সংগঠন ধরনা, বিক্ষোভের পাশাপাশি আলোচনা সভা সংগঠিত করবে। স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ অনুসারে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য হবে প্রকৃত খরচের দেড় গুণ। কৃষকদের থেকে এই দামে ফসল কিনতে হবে। তার জন্য তৈরি করাতে হবে আইন।
লখিমপুর খেরির কৃষক হত্যা প্রসঙ্গে মোর্চার বক্তব্য, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলে গাড়িতে পিষে দিল কৃষকদের। অথচ সেই ঘটনায় জামিন পেয়ে গেল অভিযুক্ত। আগামী ২১ মার্চ কৃষক হত্যায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ হবে। অভিযোগ, কৃষক আন্দোলনের সময় দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়, তাও মানা হচ্ছে না।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন