

ফসলের ন্যূনতম দামের নিশ্চয়তায় (MSP) আইন সহ একাধিক দাবিতে কৃষকদের দিল্লি চলো অভিযানকে কেন্দ্র করে উত্তাল দিল্লি পাঞ্জাব সীমান্ত। জানা গেছে পাঞ্জাব হরিয়ানা সীমান্তে দিল্লিমুখী কৃষকদের আটকাতে টিয়ার গ্যাসের শেল ফাটানো হয়েছে।
গতকাল কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা ব্যর্থ হবার পর মঙ্গলবার সকালে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ থেকে আনুমানিক এক লক্ষের বেশী কৃষক দিল্লি অভিমুখে রওনা দেয়।
কৃষকদের দিল্লি চলো অভিযান আটকাতে হরিয়ানা এবং দিল্লি প্রশাসনের পক্ষ থেকে দিল্লিমুখী সমস্ত রাস্তায় ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। কৃষকদের ট্র্যাক্টর আটকাতে রাস্তায় বড়ো পেরেক পুঁতে রাখা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় কংক্রীটের ব্লক বসিয়ে অথবা বড়ো বড়ো ট্রেলার দাঁড় করিয়ে রাস্তা অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে গাজিপুর, চিল্লা অঞ্চলে ব্যারিকেড করা হয়েছে। এছাড়াও সিঙ্ঘু, টিকরির মত দিল্লি প্রবেশের সীমান্ত অঞ্চলগুলিতে ব্যারিকেড করে রাস্তা বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিন কৃষকদের দিল্লি অভিযান প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা এক এক্স বার্তায় প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী! “আপনি কেন দেশের কৃষকদের সঙ্গে এরকম ব্যবহার করছেন? কেন আপনার প্রতিশ্রুতি পূরণ করছেন না?” তিনি আরও বলেন, কৃষকদের যাত্রাপথে পেরেক পুঁতে দেবার এই সময় কি অমৃতকাল নাকি অন্যায়কাল?
কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি দেশজুড়ে আইন অমান্যের ডাক দিয়েছে বিভিন্ন কৃষক সংগঠন। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় শুরু হয়েছে এই কর্মসূচী। কৃষকদের এই আন্দোলন ঠেকাতে গত কয়েকদিন ধরে ধাপে ধাপে দিল্লিকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে দিল্লি থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে পাঞ্জাব হরিয়ানা শম্ভু সীমান্তের কাছে দিল্লিমুখী কৃষকদের মিছিলের ওপর টিয়ার গ্যাস চালায় পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে আশপাশের এলাকা। দিল্লির কাছে আম্বালাতেও কৃষকদের ওপর টিয়ার গ্যাসের শেল ছোঁড়া হয়।
২০২২ সালে ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলনের শেষে ফসলের দামের আইন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কেন্দ্রের মোদী সরকার। যদিও এখনও পর্যন্ত সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়নি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন