হরিয়ানার কুরুক্ষেত্রে বিজেপি-জেজেপি জোট সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখানোয় প্রায় ৬০ জন কৃষককে গ্রেফতার করলো পুলিশ। বি আর আম্বেদকর ভবনের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয় কৃষকদের। দলীয় কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য এই ভবনে দু'দিনের কর্মসূচি ছিল বিজেপির রাজ্য সভাপতি ওম প্রকাশ ধনখড়ের।
বিজেপির এই কর্মসূচির কথা জানতে পেরেই ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের নেতৃত্বে বহু কৃষক আম্বেদকর ভবনের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। মনোহর লাল খট্টারের সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগানও দেন তাঁরা।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য এলাকায় আগে থেকেই প্রচুর পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। কৃষকরা বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশ প্রথমে লাঠিচার্জ করে তাঁদের হঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন কৃষক আহতও হন। কিন্তু এরপরও বিক্ষোভ অব্যাহত থাকলে, বিক্ষোভকারীদের বলপূর্বক নিজেদের গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যাচ্ছে বিকেইউ (চারুনী) স্পোকপার্সন রাকেশ বেইনসকে দু-হাতে দু-পায়ে ধরে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
পরে পুলিশ লাইনসে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর আহত কৃষকদের মেডিকো-লিগ্যাল রিপোর্টের দাবিতে অবরোধ করে কৃষকরা। একঘন্টা ধরে পথ অবরোধ চলার পর পুলিশ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে এসে তাঁদের শান্ত করে।
কৃষকদের আম্বেদকর ভবনের সামনে থেকে হটিয়ে দিয়ে কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে বিজেপির অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে সাহায্য করে পুলিশ। এই অনুষ্ঠানে ধনখড় ছাড়াও অংশ নিয়েছিলেন কুরুক্ষেত্রের সাংসদ নায়েব সিং সাইনি, মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক সেক্রেটারি কৃষাণ বেদী এবং পার্টির জেলা সভাপতি রাজকুমার সাইনি।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে রাকেশ বেইনস বলেছেন, "পুলিশ আমাদের জোর করে প্রতিবাদের জায়গা থেকে সরিয়ে দিয়েছে। কয়েকজন কৃষক আহত হয়েছেন। আমরা বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং তাঁদের অনুষ্ঠানের বিরোধিতা চালিয়ে যাব।"
অপরদিকে সহকারী পুলিশ সুপার রবীন্দ্র তোমর জানিয়েছেন, "পুলিশ কৃষকদের বিক্ষোভের জন্য একটি নির্দিষ্ট জায়গা নির্ধারণ করেছিল, তবে কৃষকরা পুলিশ ব্যারিকেডস সরিয়ে আম্বেদকর ভবনের সামনে জড়ো হয়েছিল। বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তাঁরা ওই জায়গা ছাড়তে অস্বীকার করেছিলেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য কৃষকদের পুলিশ লাইনে আটক করা হয়েছিল। কিন্তু কোনও বল প্রয়োগ করা হয়নি।"
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।