

প্রতিবেশী রাজ্য হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশের সাথে সংযুক্ত সম্পূর্ণ সীমান্তে অত্যন্ত কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করলো দিল্লি পুলিশ। দিল্লি পুলিশের দাবি, প্রায় ৫০ হাজার কৃষক রাজধানীতে প্রবেশের পরিকল্পনা করছে। যদিও কৃষক সংগঠনগুলি জানিয়েছে, তাদের এরকম কোনো পরিকল্পনা নেই।
এক সিনিয়র পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে খবর আছে কৃষকদের একটি সংগঠন তাদের সমস্ত সদস্যকে পানিপথ টোল প্লাজা থেকে সিঙ্ঘু সীমান্তে আসার আহ্বান জানিয়েছে। পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, "সিঙ্ঘু, টিকরি, গাজিপুর সহ সমস্ত বর্ডার পয়েন্টেই আমাদের কর্মীরা ২৪ ঘন্টা নজরদারি চালাচ্ছিলেন। কিন্তু এই আহ্বানের কারণে সেই নিরাপত্তা আরো জোরদার করেছি আমরা। ভেতরের এবং বাইরের সমস্ত বাহিনীকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে মোবিলাইজড করা হয়েছে।"
প্রতি সীমান্তে বহুস্তরযুক্ত ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। জেলা ডিসিপি নিজেরাই সমস্ত ব্যবস্থা পর্যালোচনা করে দেখছেন। পুলিশ অফিসারটি আরো জানিয়েছেন, "আমরা কৃষকদের সাথে যোগাযোগ করেছি। তাঁদের জানিয়েছি, তাঁরা যদি নিজেদের হাতে আইন তুলে নেন, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব আমরা।"
প্রসঙ্গত, বিতর্কিত তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে গত ছ'মাস ধরে দিল্লি সীমান্তে আন্দোলন চালাচ্ছেন দেশের লক্ষ লক্ষ কৃষক। কৃষকদের আশঙ্কা এই আইনের ফলে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য থেকে বঞ্চিত হবেন তাঁরা। কর্পোরেটদের হাতের পুতুল হয়ে থাকতে হবে তাঁদের।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন