
একদিকে সংসদে অধিবেশন চলবে। অন্যদিকে, দিল্লিতে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জানাবেন কৃষকরা। প্রতিদিন ২০০ জন করে কৃষক এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে এই আন্দোলন চলবে, যতদিন সংসদে অধিবেশন চলে। এমনটাই জানিয়েছেন রাষ্ট্রীয় কিষান মজদুর মহাসংঘের সভাপতি শিবকুমার কাক্কা। যন্তর মন্তরে প্রস্তাবিত বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়ে মঙ্গলবার দিল্লি পুলিশের সঙ্গে বৈঠক করেন কৃষকরা। তারপরে কাক্কার জানান, যন্তর মন্তরে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত মজদুর সংঘের ব্যাজ পড়ে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করবেন কৃষকরা।
মোদি সরকারের তিন কৃষি আইন, বিদ্যুৎ বিল বাতিল এবং সব ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইনি স্বীকৃতির দাবিতে গত ২৬ নভেম্বর থেকে দিল্লি সীমান্তে লাগাতার বিক্ষোভ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। পুলিশের সঙ্গে বৈঠকে কাক্কা আশ্বাস দেন, একজন কৃষকও সংসদের দিকে পা বাড়াবেন না। পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ থাকবে কৃষক বিক্ষোভ। তবে দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে কোনও অনুমতিপত্র আসেনি বলে তিনি জানান।
গত রবিবারও পুলিশের সঙ্গে দিল্লির কৃষক নেতাদের একপ্রস্থ বৈঠক হয়। তাতে পুলিশ ২০০ জন কৃষকের উপস্থিতির সংখ্যা কমিয়ে কর্মসূচি করার জন্য অনুরোধ করেছিল বলে জানা যায়। এর একদিন পরই কৃষক মোর্চা অভিযোগ করে পুলিশের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক প্রচার চালানো হচ্ছে। কৃষকদের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে সংসদ ঘেরাওয়ের কোনও কর্মসূচি তাদের নেই।
কৃষক আন্দোলনের দাবিগুলি সংসদের অধিবেশনে উত্থাপন করার জন্য কয়েকজন সাংসদকে অনুরোধ জানিয়েছিল সংযুক্ত কিষান মোর্চা। বেশ কয়েকজন সাংসদ সরকারের কাছে এব্যাপারে প্রশ্ন জমা দেন। মঙ্গলবার কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর দায়সারা ভাবে তার জবাবে বলেন, 'চলতি কৃষক আন্দোলনের সমাধান চায় কেন্দ্র। তার জন্য এগারোবার বৈঠকে বসেছে। কিন্তু কৃষকরা কেন্দ্রের তিন কৃষি আইন সম্পূর্ণভাবে বাতিলের পক্ষে ছিলেন।' তবে কৃষকদের দাবি মেনে নেওয়ার ব্যাপারে কোনও ভাবনা চিন্তা হচ্ছে কিনা, সে ব্যাপারে তিনি মুখ খোলেননি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন