

২০০ দিন সম্পূর্ণ করল কৃষক আন্দোলন। কেন্দ্রের আনা তিনটি জনবিরোধী কৃষি আইন ও বিদ্যুৎ সংশোধন বিল বাতিল করা-সহ বিভিন্ন দাবিতে কৃষকদের আন্দোলন অনেক আগেই শোরগোল ফেলে দিয়েছিল। রবিবার ১৯৯ তম দিনে সংযুক্ত কিষান মোর্চার (এমকেএম) তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে আন্দোলন আরও জোরদার করে তোলা হবে।
গত বছর ২৬ নভেম্বর থেকে কৃষকরা দিল্লি সীমান্তে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। তারপর ২০০ দিন হয়ে গেলেও মোদি সরকার কৃষকদের দাবি-দাওয়ার প্রতি বিন্দুমাত্র কর্ণপাত করেনি। কিন্তু থেমে থাকেননি কৃষকরা। জাতীয় সড়কে প্রাকৃতিক দুর্যোগকে উপেক্ষা করেই চলছে তাঁদের আন্দোলন। গ্রামে গ্রামে ধান বোনার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু প্রতিদিন তাও কৃষকরা তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
আগামী ২৬ জুন দেশজুড়ে এসকেএমের ডাকে 'কৃষি রক্ষা, গণতন্ত্র রক্ষা'র প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। ওইদিনই ভারতের জরুরি অবস্থা জারির ৪৬ তম বার্ষিকীও। একইসঙ্গে ওইদিন পালিত হবে কৃষক নেতা স্বামী সহজানন্দ সরস্বতীর মৃত্যুবার্ষিকী। ওইদিন দেশের রাজভবনগুলোর কাছে অবস্থান-বিক্ষোভ করা হবে।
প্রতিদিন কর্মসূচি সংঘটিত হবে জেলা এবং মহকুমা স্তরে। নাগরিক, প্রগতিশীল সংগঠন, ট্রেড ইউনিয়ন, ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান, মহিলা-ছাত্র-যুব ও কর্মচারী সংগঠন-সবার কাছেই এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ এবং সমর্থনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন