দিল্লি সীমান্তে আরও জোরদার হচ্ছে কৃষক আন্দোলন, কেন্দ্রের কপালে চিন্তার ছাপ

সিঙ্ঘু সীমান্তে কৃষকদের আন্দোলন আর ঠিক কতদিন চলবে তা কেউই জানে না। যত দিন গড়াচ্ছে, কেন্দ্রের কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন আরও জোরদার হচ্ছে।
সিঙ্ঘু সীমান্তে কৃষক অবস্থান
সিঙ্ঘু সীমান্তে কৃষক অবস্থান ফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

নয়াদিল্লি, ২৭ ফেব্রুয়ারি: সিঙ্ঘু সীমান্তে কৃষকদের আন্দোলন আর ঠিক কতদিন চলবে তা কেউই জানে না। যত দিন গড়াচ্ছে, কেন্দ্রের কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন আরও জোরদার হচ্ছে। লালকেল্লা অভিযানের এক মাস পূর্ণ হয়েছে ইতিমধ্যেই। কিন্তু আন্দোলন আর ঠিক কতদিন চলবে, তা কেউই জানে না। কৃষি আইন প্রত্যাহার না করলে, ১৮ মাস কেন, ২ বছর পেরিয়ে গেলেও আন্দোলন চালিয়ে যাবেন কৃষকরা।

আন্দোলন চালিয়ে যেতে যে অর্থের প্রয়োজন, তার কোনও ঘাটতিও বুঝতে দিচ্ছেন না, দেশের বাইরে থাকা কৃষক পরিবারের সদস্যরা। প্রত্যেকদিনই রিসিট ও কালো ব্যাগ নিয়ে দিল্লি সীমান্তে চাঁদা জোগাড়ের কাজও চলছে সমানভাবে। 'আন্দোলন ফান্ড'-এ আজকাল দৈনিক প্রায় ২-৪ লাখ টাকা জমা পড়ছে। চন্ডীগড়ে প্রত্যেক বাংলোর বাইরে কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে একটি করে ব্যানার টানানো হয়েছে।

মাঠে খেলতে যাওয়া বাচ্চারা 'আই লাভ খেতি' বা 'আই লাভ কিষান' ব্যাজ পড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই ব্যাজগুলো সিঙ্ঘু সীমান্তে প্রত্যেক ব্যাজ ১০ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং জানিয়েছেন, ১০০-র বেশি জায়গায় মিনি ধর্না, রাস্তা অবরোধ, রেল অবরোধকে 'উস্কানিমূল' যতই বলা হোক না কেন, নিজেদের আন্দোলন থেকে কৃষকরা কিছুতেই সরে আসবেন না। তিনি কেন্দ্রকে আক্রমণ করে বলেন, এই আন্দোলনকারীদের গ্রেপ্তার করলেই দেখতে পাওয়া যাবে যে, এই আন্দোলনের ঢেউ শতাধিক থেকে হাজারের অধিক হয়ে যাবে। আর পঞ্জাবিরা এই ধরনের আচরণে খুব বাজেভাবে প্রতিক্রিয়া দেয়। সুতরাং কোনও মতেই কৃষকদের আন্দোলন থেকে সরিয়ে আনা যাবে না। একটাই পথ, আর তা হল কৃষি আইন প্রত্যাহার করা। তা না হলে, আন্দোলন বাঁচিয়ে রাখতে যা যা করা দরকার, তা নিজেরাই করে নেবেন তাঁরা।

কোনও কিছুতেই এই আন্দোলনকে দমিয়ে রাখা সম্ভব নয়। কেন্দ্রের কাছে এই বার্তা ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in