কৃষকরা তাঁকে অপহরণ করেছিলেন এবং সংবাদমাধ্যমের সামনে মিথ্যে বলতে বাধ্য করেছিলেন। কয়েকঘন্টার মধ্যেই বয়ান পাল্টে পুলিশের সামনে একথা জানালেন সিঙ্ঘু সীমান্তে আন্দোলনরত কৃষকদের হাতে ধরা পড়া মুখোশধারী ব্যক্তি। তাঁর এই মন্তব্যের ভিডিও বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে দেখানো হয়েছে।
শুক্রবার রাতে সিঙ্ঘু সীমান্তে কৃষকদের অবস্থানস্থল থেকে সন্দেহভাজন এই ব্যক্তিকে পাকড়াও করেন কৃষকরা। রাতেই সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে তাঁকে প্রকাশ্যে আনা হয়, যদিও তাঁর মুখ সাদা কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল। সংবাদমাধ্যমের সামনে ওই ব্যক্তি জানান, দুই মহিলা সহ ১০ জনের একটি দল রয়েছে তাঁদের। ২৬ জানুয়ারি প্রস্তাবিত ট্রাক্টর র্যালিতে গুলি চালানোর জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে তাদের। এছাড়াও ২৪ জানুয়ারি চার কৃষক নেতাকে হত্যার পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের। এই সমস্ত কিছুর জন্য তাঁদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন প্রদীপ সিং নামের এক ব্যক্তি। ধৃত যুবকের দাবি অনুযায়ী হরিয়ানার রাই থানার স্টেশন হাউস অফিসার এই প্রদীপ সিং। যদিও পরে জানা গেছে রাই থানাতে প্রদীপ সিং নামের কোনো অফিসার নেই।
এরপরই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোনিপাত থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় ওই ব্যক্তিকে। যেখানে নিজের বয়ান পাল্টে নেন ধৃত ব্যক্তি। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃত ব্যক্তির নাম যোগেশ। হরিয়ানার সোনিপাতের বাসিন্দা তিনি। পুলিশের সামনে ১৯ বছরের যোগেশের দাবি, কৃষকরা তাঁকে অপহরণ করেছিলেন। উল্টো করে বেঁধে প্রচুর মারধর করা হয় তাঁকে। এরপর জোর করে মদ খাইয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মিথ্যে কথা বলতে বাধ্য করা হয়েছে।
এমনকি তাঁর আরও দাবি, কৃষকরা তাঁকে হুমকি দিয়েছিলেন এ নিয়ে কারো কাছে মুখ খুললে তাঁকে খুন করা হবে এবং কেউ টেরও পাবে না। যদিও ধৃত ব্যক্তির মোবাইল থেকে বলবীর সিং রাজেওয়াল, বলদেব সিং সিরসা, কুলদীপ সাঁধু এবং জগজিৎ সিং - এই চার কৃষক নেতার ছবি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।