
প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রস্তাবিত ট্রাক্টর র্যালি নিয়ে আজ দ্বিতীয়বার দিল্লি পুলিশের সাথে বৈঠকে বসেছে আন্দোলনরত কৃষক নেতারা। সরকার এই র্যালির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও র্যালির সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন কৃষকরা। কৃষক নেতা দর্শন পাল আজ ফের জোর গলায় জানিয়েছেন প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন ট্রাক্টর র্যালি হবেই। এবং শুক্রবার কৃষি আইন বাতিল নিয়ে সরকারের সাথে একাদশ দফার আলোচনার পর পুলিশের সাথে এনিয়ে ফের বৈঠকে বসবেন কৃষক নেতারা।
ক্রান্তিকারি কিষাণ ইউনিয়নের প্রধান দর্শন পাল জানিয়েছেন, "সরকার বলেছে সুরক্ষার কারণে দিল্লির আউটার রিং রোডে প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন ট্রাক্টর র্যালি করা যাবে না। আমরাও পরিষ্কার করে জানিয়ে দিচ্ছি আমরা কেবলমাত্র ওখানেই র্যালি করব। আগামীকাল কেন্দ্রের সাথে বৈঠকের পর, আমরা পুলিশের সাথে আরেকটি বৈঠক করব।"
বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে গত দু'মাস ধরে দিল্লি সীমান্তে আন্দোলন চালাচ্ছে চল্লিশটিরও বেশি কৃষক সংগঠন। ক্রান্তিকারি কিষাণ ইউনিয়নও এই আন্দোলনের একটি অংশ। আইন বাতিলের দাবিতে ইতিমধ্যেই সরকারের সাথে ১০ দফা বৈঠক করেছে আন্দোলনরত সংগঠনগুলো।
বৃহস্পতিবারের বৈঠকে দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে কৃষকদের কুন্ডলি-মানেসর-পালওয়াল এক্সপ্রেসওয়েতে ট্রাক্টর র্যালি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আউটার রিং রোডে "শান্তিপূর্ণভাবে" র্যালি করার সিদ্ধান্ত অনড় রয়েছেন কৃষকরা। উভয় পক্ষ ঐক্যমত্যে পৌঁছতে না পারায় আজকের বৈঠক ব্যর্থ হয়।
দিল্লি পুলিশের মাধ্যমে প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্রাক্টর র্যালিতে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল কেন্দ্র। বুধবার এর শুনানিতে কেন্দ্রকে এই আবেদন প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অপরদিকে ওইদিনই কৃষকদের সাথে কেন্দ্রের বৈঠকে সরকার জানিয়েছে আগামী দেড় বছরের জন্য কৃষি আইন কার্যকর স্থগিত রাখতে প্রস্তুত তারা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন