
প্রজাতন্ত্র দিবসে ট্র্যাক্টর মিছিলকে কেন্দ্র করে ঝামেলার পরই কৃষক আন্দোলনের তেজ ফিকে হয়ে এসেছিল। আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু উত্তরপ্রদেশের গাজীপুর সীমান্ত থেকে কৃষকদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল যোগী সরকার। আন্দোলনকারীরাও বাড়ি ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিলেন। কিন্তু এই সমস্ত পরিস্থিতি এক মুহূর্তে পাল্টে দিল কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েতের কান্না। তাঁর কান্না দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কৃষকদের আন্দোলনে অনড় থাকার অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। আন্দোলনরত কৃষকরা আজ 'মহাপঞ্চায়েত' বা বড় সমাবেশের ডাক দিয়েছে, সেখানেই আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি স্থির হবে।
গতকাল রাতের মধ্যেই গাজিপুর সীমান্ত খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল যোগী প্রশাসন। তা কার্যকর করতে বৃহস্পতিবার বিকেলেই প্রচুর র্যাফ ও পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল সীমান্তে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বহু কৃষকই বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। রাতে সাংবাদিক সম্মেলন করে ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকায়েত বলেন, আন্দোলনস্থল ছেড়ে এক ইঞ্চিও নড়বে না তাঁরা। কাঁদতে কাঁদতে কৃষকদের তিনি অনুরোধ করেন, তাঁরা যেন আন্দোলনস্থল ছেড়ে না যান। তিনি বলেন - "প্রয়োজন হলে পুলিশের গুলি খেতেও রাজি আছি।" তিনি বলেন, "সুপ্রিম কোর্ট শান্তিপূর্ণ অবস্থানকে ন্যায়সঙ্গত বলে মনে করে। গাজিপুর সীমান্তে কোনো অশান্তি হয়নি, তাহলে কেন আন্দোলন করতে পারবেন না কৃষকরা?"
মুহূর্তের মধ্যে তাঁর কান্নার এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। জানা গেছে, তাঁর এই কান্নার কারণে পুরোনো আন্দোলনকারীদের থেকে যাওয়ার পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আরো বহু কৃষক এসে আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। এমনকি হরিয়ানা থেকেও বহু কৃষক গাজীপুর সীমান্তের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। দিল্লি সীমান্তেও কৃষকদের ভীড় বাড়ছে বলে দাবি করেছে সংগঠনগুলি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন