

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি বেআইনিভাবে দখল করে রাখার যে 'মিথ্যা অভিযোগ' করা হয়েছে নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের বিরুদ্ধে, তা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা হোক। সোমবার এই মর্মে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছেন স্বয়ং অমর্ত্য সেন।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে একটি চিঠি লিখেছেন নোবেলজয়ী। তিনি লিখেছেন,'আপনি আমার আইনজীবীর কাছ থেকে সবটা শুনেছেন।এবার আমি বলছি, বিশ্বভারতীর জমি বেআইনিভাবে দখযে অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে করা হয়েছে, তা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা হোক।এখনও পর্যন্ত এই অভিযোগের ভিত্তিতে কোনও তথ্যপ্রমাণ পেশ করতে না-পেরে এখন রাজ্য সরকারকে প্রতীচীর ওই জমি মাপার জন্য আবেদন করা হচ্ছে। ১৯৪০ সালে বিশ্বভারতীর কাছ থেকে এই জমি আমার বাবা ৯৯ সালের জন্য লিজ নিয়েছিলেন।উপরন্তু আপনাদের রেজিস্ট্রার মাহাতো হুমকি দিচ্ছেন, এখানে যদি কোনও অতিরিক্ত জমি আমি দখল করে থাকি, তাহলে আমার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
উল্লেখ্য, এই জমি সমস্যার কারণে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে অমর্ত্য সেনের জমি মাপার জন্য আবেদন করেছে। এর ঠিক একদিন পরেই এই চিঠি পাঠালেন নোবেলজয়ী।প্রসঙ্গত, গত মাসে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে একটি চিঠি লিখে অমর্ত্য সেন-সহ একাধিক ব্যক্তির বিশ্ববিদ্যালয়ের জমির বেআইনি দখলদারের তালিকা প্রকাশ করেছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন