

৪/৫- পাঁচ রাজ্যে নির্বাচনের পর বিজেপির পক্ষে এটাই ছিল ফলাফল। ফলপ্রকাশের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই নতুন নিয়ম লাগু করে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। কোপ পড়ল কর্মচারীদের সঞ্চয়ে। করোনা অতিমারীতে বেতনে কোপ পড়েছিল। আর এবার ইপিএফের সুদের হার কমে গেল। কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ডের (ইপিএফ) সুদের হার সাড়ে আট শতাংশ থেকে কমে হল ৮.১ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবর্ষেই এই হার লাগু হবে।
শনিবার গুয়াহাটিতে শ্রমমন্ত্রকের আওতাধীন কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠনের (ইপিএফও) দু’দিনের বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী। পদাধিকার বলে ইপিএফও (EPFO) পরিষদের চেয়ারম্যান কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব। এখন অর্থমন্ত্রক সবুজ সংকেত দিলেই শ্রমমন্ত্রক এই ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি জারি করবে।
একধাক্কায় ৪০ বেসিস পয়েন্ট সুদের হার কমে যাওয়ায় প্রবল সমস্যায় পড়তে চলেছেন দেশের প্রায় ছ’কোটি ইপিএফ গ্রাহক। মধ্যবিত্তের পকেটেও ধাক্কা লাগবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিগত ৪৪ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন সুদের হার লাগু হচ্ছে এবার। অর্থাৎ, ১৯৭৭-৭৮ সালের পর পিএফের সুদের হার এতটা কমেনি।
২০২০-২১ অর্থবর্ষে ইপিএফে সুদের হার একই ছিল। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের মতোই সাড়ে আট শতাংশ হারে সুদ পাচ্ছিলেন ইপিএফ গ্রাহকরা। যদিও তা গত সাত বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ছিল। সূত্রের খবর, এদিন এই ইস্যুতে বৈঠক থেকে ওয়াক-আউট করতে চান সর্বভারতীয় শ্রমিক সংগঠনের একটা অংশ।
এআইইউটিইউসি’র সর্বভারতীয় নেতা তথা অছি পরিষদের সদস্য দিলীপ ভট্টাচার্যের অভিযোগ, ‘মোদি সরকার কর্পোরেটদের জন্য যতটা উদার, শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য ততটাই উদাসীন।’ তুমুল বিরোধিতা করে গেরুয়া শিবিরের শ্রমিক শাখা বিএমএসও। পরে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিনয়কুমার সিনহা বলেন, ‘শ্রমিক-কর্মচারীদের কথা শুনতেই চাইছে না সরকার।’
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন