

একসাথে ইস্তফা দিলো অন্ধ্রপ্রদেশের পুরো মন্ত্রিসভা। মেয়াদ পূরণের অর্ধেক সময়ের আগেই ইস্তফা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস জগমোহন রেড্ডির মন্ত্রিসভার সমস্ত সদস্যরা। ২০২৪ সালে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা।
সূত্রের খবর, নতুনভাবে মন্ত্রিসভা গঠন করবেন জগন মোহন রেড্ডি। আজ এই নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন তিনি। এই বৈঠকের পরই ইস্তফা দেন মন্ত্রীরা।
এই মুহূর্তে মন্ত্রিসভায় মাত্র একজন সদস্য রয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী জগন মোহন রেড্ডি, তিনিই মন্ত্রীদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করছেন।
তবে পুরো মন্ত্রিসভার এই পদত্যাগ রাজ্যে ক্ষমতাসীন ওয়াই এস আর কংগ্রেস পার্টির কাছে প্রত্যাশিত ছিল। কারণ জগন রেড্ডি আগেই বলেছিলেন তিনি তাঁর মেয়াদের অর্ধেক সময় পরে সম্পূর্ণ নতুন একটি মন্ত্রিসভা গঠন করবেন। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে এই পরিবর্তন হওয়ার কথা ছিল তবে কোভিডের কারণে তা স্থগিত করা হয়েছিল।
গতকাল সন্ধ্যাতেই রাজ্যপাল বিশ্বভূষণ হরিচন্দনের সাথে দেখা করে মন্ত্রিসভা পরিবর্তনের কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সূত্রের খবর, নতুন মন্ত্রিসভায় রাজ্যের ২৬টি জেলারই প্রতিনিধি থাকবেন। জাতি, অঞ্চল, ধর্ম এবং লিঙ্গকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। বিদায়ী মন্ত্রিসভায় ৫ জন উপমুখ্যমন্ত্রী ছিলেন - তপশিলী জাতি, তপশিলী উপজাতি, অনগ্রসর শ্রেণী, কাপু জাতি এবং মুসলমান সম্প্রদায়ের একজন করে। মহিলা মন্ত্রী ছিলেন তিনজন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন দলিত সম্প্রদায়ের মহিলা এম সুচরিতা। নতুন মন্ত্রিসভায় এই কাঠামোর পুনরাবৃত্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিদায়ী সদস্যদের মধ্যে মাত্র দু-একজন থাকতে পারেন নতুন মন্ত্রিসভায়।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন