Teesta Setalvad: সমাজকর্মী তিস্তা শীতলবাদের মুক্তির দাবিতে সরব লেখক, শিল্পী ও চিত্র পরিচালকেরা

একামাস অতিক্রান্ত। গত, ২৫ জুন সমাজকর্মী তিস্তা শীতলবাদকে গেপ্তার করে গুজরাট পুলিশের সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড (ATS)। এর প্রতিবাদে দেশজুড়ে রাস্তায় নামেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ।
তিস্তা শীতলাবাদ
তিস্তা শীতলাবাদছবি সৌজন্য ইন্দো আমেরিকান মুসলিম কাউন্সিল ট্যুইটার হ্যান্ডেলের সৌজন্যে
Published on

সমাজকর্মী তিস্তা শীতলবাদের মুক্তির দাবিতে সরব হয়েছেন কেরালার বিশিষ্ট লেখক, শিল্পী ও চিত্র পরিচালকেরা।

এক বিবৃতিতে তাঁরা জানিয়েছেন, 'সুপ্রিম কোর্টের রায়ে (গুজরাট গণহত্যা সংক্রান্ত) পর্যবেক্ষণের সূত্র ধরে তিস্তা এবং শ্রীকুমারের গ্রেপ্তারীর তীব্র নিন্দা জানাই আমরা। গুজরাটে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার ক্ষেত্রে তিস্তা শীতলবাদের প্রচেষ্টা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। দেশ তাঁকে পদ্মশ্রী পুরস্কারে সম্মানিত করেছে। আর বি শ্রীকুমার সরকারী গোপনীয়তা প্রকাশ করার চেষ্টা করেছিলেন। এমন তথ্যের উপর আলোকপাত করেছিলেন, যা নিশ্চিত ভাবে অপরাধীদের আইনের সামনে আনত।'

এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন- চলচ্চিত্র নির্মাতা অদুর গোপালকৃষ্ণন, কেরালা সাহিত্য আকাদেমির সভাপতি কে সচ্চিদানন্দন, লেখক এম মুকুন্দন, এন এস মাধবন, সারাহ জোসেফ, বৈশাখান, কুরিপুজা শ্রীকুমার প্রমুখ।

আবার, দ্য ট্রিবিউন পত্রিকায় সমাজবিজ্ঞানী শিব বিশ্বনাথ লিখেছেন, 'সংবিধানের মাধ্যমে স্বাধীনতার পথে হেঁটেছেন তিস্তা। গত ২০ বছর ধরে তিনি সমাজে সত্যের সন্ধান ও প্রকাশ করে চলেছেন।' তিনি আরও লিখেছেন, 'স্বাধীনতা পর থেকে এখন পর্যন্ত শীতলবাদের পরিবার মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে একটি রেকর্ড গড়েছে।'

একামাস অতিক্রান্ত। গত, ২৫ জুন সমাজকর্মী তিস্তা শীতলবাদকে গেপ্তার করে গুজরাট পুলিশের সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড (ATS)। এর প্রতিবাদে দেশজুড়ে রাস্তায় নামেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ।

তিস্তার বিরুদ্ধে এফআইএর করা হয় গুজরাট পুলিশের পক্ষ থেকে। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৯৪ (মিথ্যা প্রমাণ দেওয়া বা জাল করা), ২১১ (ঘটনার মিথ্যা অভিযোগ), ২১৮ (জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে ভুল তথ্য প্রদান), ৪৭১ (ভুল নথি সত্য বলে চালানো) এবং ১২০বি (অপরাধী মূলক ষড়যন্ত্র) ধারায় মামলা করা হয়েছে।

তিস্তা শীতলাবাদ
Teesta Setalvad : সমাজকর্মী তিস্তা শীতলবাদের গ্রেফতারির তীব্র নিন্দা রাষ্ট্রসংঘের আধিকারিকের

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in