

বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎকর্মীরা ধর্মঘট ডেকেছেন। তাই অন্ধকারে ডুবে গিয়েছে গোটা শহর। এভাবে কেটে গেছে প্রায় দু'দিন। প্রায় ৪৮ ঘণ্টা অন্ধকারে থাকার পর বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু হলো চণ্ডীগড়ে। সোমবার বিকেলে বিদ্যুৎ বিপর্যয় হয়।
ব্ল্যাক আউটের জেরে বিপর্যস্ত হয় জল সরবরাহ ব্যবস্থা। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় ট্রাফিকের আলো বন্ধ ছিল। এমনকি হাসপাতালেও এর প্রভাব পড়েছে। একাধিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বাধ্য হয়ে অস্ত্রোপচারের সময় পিছিয়ে দিতে হয়েছে। দিল্লি সীমানা লাগোয়া অঞ্চলগুলিতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায়, ব্যাহত হয় অনলাইন ক্লাস ও কোচিং ইন্সটিটিউটগুলির কার্যপ্রক্রিয়া। রাজ্যের উৎপাদন ও শিল্প ক্ষেত্রগুলিতেও এর প্রভাব পড়েছে।
জানা গিয়েছে, বিদ্যুৎ বিভাগের বেসরকারিকরণ হতে চলেছে। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেই বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা গত কয়েকদিন ধরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। রাজ্যের পরামর্শদাতা ধরম পাল বিদ্যুৎ দফতরের ইউনিয়নের সঙ্গে কথা বললেও কাজ হয়নি। কর্মীদের দাবি, বেসরকারিকরণ হলে কাজের ধরন ও শর্তে পরিবর্তন হবে। বাড়বে বিদ্যুতের দামও।
বিক্ষোভের জেরে তৈরি হওয়া পরিস্থিতি রুখতে মঙ্গলবার বিকেলেই চণ্ডীগঢ় প্রশাসন জরুরি পরিষেবা রক্ষণাবেক্ষণ আইন জারি করে। এই ধারায় আগামী ছয় মাস বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীদের বিক্ষোভে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।
মঙ্গলবার পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের তরফে বুধবারের মধ্যে এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্য ইঞ্জিনিয়ারকে হাজিরা দিতে বলা হয়। চণ্ডীগড় প্রশাসনের তরফে আইনজীবী অনিল মেহতা জানান, বিদ্যুৎ সঙ্কট মেটাতে পঞ্জাব ও হরিয়ানা সরকারকে অতিরিক্ত কর্মী পাঠিয়ে সাহায্য করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন