ED Raids: রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের ছেলের বাড়িতে হানা ইডির

People's Reporter: বুধবার বৈভবের বাসভবনে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। জানা গেছে, বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন (ফেমা) লঙ্ঘন সংক্রান্ত একটি মামলার সূত্র ধরেই এই তল্লাশি।
অশোক গেহলট
অশোক গেহলটফাইল ছবি
Published on

প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেলহটের ছেলে বৈভব গেলহটের বাড়িতে হানা দিল ইডি। বুধবার বৈভবের বাসভবনে তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। জানা গেছে, বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন (ফেমা) লঙ্ঘন সংক্রান্ত একটি মামলার সূত্র ধরেই এই তল্লাশি। এর আগে রাজস্থানের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছিল।

বৈভব গেহলট নিজে কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। রাজস্থানে অবস্থিত ট্রাইটন হোটেলস অ্যান্ড রিসর্টের ডিরেক্টর শিব শঙ্কর শর্মা ও প্রোমটর রতন কান্ত শর্মার বিরুদ্ধে চলা একটি মামলার তদন্ত চলাকালীন বৈভবের নাম উঠে আসে। জয়পুরের বাসিন্দা এই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফেমা (ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট) লঙ্ঘনের অভিযোগ ছিল।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ফেমা মামলায় অভিযুক্ত শিব শঙ্কর শর্মা ও রতন কান্ত শর্মা, বৈভব গেলহটের বিরুদ্ধে ‘শিবনার হোল্ডিংস’ নামে একটি মরিশাস-ভিত্তিক কোম্পানির মাধ্যমে বেআইনি ভাবে অর্থ পাচারের অভিযোগ তুলেছিলেন। তাদের অভিযোগ ছিল, বৈভবের কোম্পানি শিবনার হোল্ডিংস, ট্রাইটন হোটেলের ২,৫০০ শেয়ার কিনেছিল। যে শেয়ারগুলি প্রতিটি ৩৯ হাজার টাকায় কেনা হয়েছিল, কিন্তু যার প্রতিটি শেয়ারের মূল্য মাত্র ১০০ টাকা ছিল। ইডি আরও জানিয়েছে, ট্রাইটন গ্রুপ হাওয়ালা লেনদেনের সাথে জড়িত।

বিজেপি সাংসদ কিরোরিলাল মিনা ইডির কাছে গহলৌত-পুত্রের বিরুদ্ধে তদন্তের আবেদন জানিয়েছিলেন। ২০২৩ সালের অক্টোবরে, রাজ্যে বিধানসভা ভোটের মুখে বৈভবকে তল্লাশির জন্য তলব করা হয়েছিল। তদন্তকারী সংস্থা এর আগে আগস্ট মাসে মুম্বাই, দিল্লি, উদয়পুর এবং জয়পুরে ট্রাইটন হোটেলে তিনদিন ধরে তল্লাশি চালিয়েছিল। সেই সময় ১.২ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছিল বলে ইডি সূত্রে জানানো হয়েছে।

অশোক গেহলট
Mahua Moitra: মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজের ব্যাখা দিতে হবে লোকসভার সচিবালয়কে! নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in