উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে সরকারি অপরাধী তালিকায় ৮০ জনের সঙ্গে যুক্ত করা হল ডাঃ কাফিল খানের নাম

ডাঃ কাফিল খান
ডাঃ কাফিল খানফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

অপরাধীদের তালিকায় নাম ঢোকানো হল ডাঃ কাফিল খান-এর। উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ৮১ জন ব্যক্তির হিস্ট্রি শীট তৈরি করা হয়েছে। যার মধ্যে নাম ঢোকানো হয়েছে ডাঃ কাফিল খানের। শনিবার সরকারি সূত্রে একথা জানা গেছে।

প্রশাসনিক সূত্র অনুসারে এস এস পি যোগেন্দ্র কুমারের নির্দেশে এই হিস্ট্রি শীট তৈরি করা হয়েছে। জেলায় মোট ১,৫৪৩ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধমূলক রেকর্ড আছে। তাঁদের সঙ্গেই এই নামগুলি যুক্ত হয়েছে।

এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর গতকাল এক ভিডিও বার্তায় ডাঃ কাফিল খান জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশ সরকার আমাকে অপরাধের তালিকায় সংযুক্ত করেছে। সারা জীবনের জন্য আমার ওপর নজর রাখা হবে। খুব ভালো কথা। তাহলে আমার জন্য দুজন নিরাপত্তা কর্মী দেওয়া হোক। যারা আমার ওপর ২৪ ঘণ্টা নজর রাখবে। এতে আমি অন্তত ভুয়ো মামলার হাত থেকে বাঁচবো। ওই ভিডিওতেই তিনি আরও বলেন – উত্তরপ্রদেশে এখন এমন অবস্থা যে অপরাধীদের ওপর কোনো নজর রাখা হয়না। কিন্তু নিরপরাধ মানুষের অপরাধের তালিকা তৈরি করা হয়।

উত্তরপ্রদেশে এখন এমন অবস্থা যে অপরাধীদের ওপর কোনো নজর রাখা হয়না। কিন্তু নিরপরাধ মানুষের অপরাধের তালিকা তৈরি করা হয়। - ডাঃ কাফিল খান

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে গোরক্ষপুরের বি আর ডি মেডিক্যাল কলেজে অক্সিজেনের অভাবে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় প্রথম ডাঃ কাফিল খানের নাম সামনে আসে। ওই সময় তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে বেশ কিছু অক্সিজেন সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করে শিশুদের প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন বলে জানা গেছিলো। জদিও পরে সরকারের পক্ষ থেকে ডাঃ কাফিল খান এবং ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরে সকলেই জামিনে ছাড়া পান। এরপর ডিসেম্বর ১০, ২০১৯-এ আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটিতে সিএএ বিরোধী এক সভায় তাঁর বক্তৃতার কারণে তাঁকে ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে এনএসএ-তে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ১ সেপ্টেম্বর ২০২০ এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশে তিনি ছাড়া পান। এলাহাবাদ হাইকোর্ট জানিয়েছিলো – ডাঃ খানের মন্তব্যে কোনো হিংসা ছড়ায়নি।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in