Dr Kafeel Khan: ৪ বছর লড়াইয়ের পর ডাঃ কাফিল খানকে বরখাস্ত করলো উত্তরপ্রদেশ সরকার

দীর্ঘ চার বছর পর ডাঃ কাফিল খানকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করলো উত্তরপ্রদেশের যোগী প্রশাসন। গোরক্ষপুরের বিআরডি মেডিকেল কলেজের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ কাফিল খানকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে বৃহস্পতিবার।
ডাঃ কাফিল খান ও যোগী আদিত্যনাথ
ডাঃ কাফিল খান ও যোগী আদিত্যনাথফাইল ছবি সংগৃহীত

দীর্ঘ চার বছর পর ডাঃ কাফিল খানকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করলো উত্তরপ্রদেশের যোগী প্রশাসন। গোরক্ষপুরের বিআরডি মেডিকেল কলেজের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ কাফিল খানকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে বৃহস্পতিবার।

এদিন এক সরকারি মুখপাত্র ডাঃ কাফিল খানকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার কথা জানান।

প্রসঙ্গত, গত আগস্ট ২০১৭ সালে গোরক্ষপুরের বিআরডি মেডিক্যাল কলেজে অক্সিজেন ঘাটতিতে ৬০ শিশুর মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার পরেই ডাঃ কাফিল খানকে সাসপেন্ড করা হয়। ওই ঘটনায় সাসপেন্ড হওয়া বাকি সাত চিকিৎসককে পরবর্তী সময়ে কাজে ফিরিয়ে নেওয়া হলেও ডাঃ খানের সাসপেনশন বজায় থাকে। পরবর্তী সময় এক সিএএ বিরোধী সমাবেশে বক্তব্য রাখার অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন।

এদিন ডাঃ কাফিল খান আইএএনএস-কে জানিয়েছেন, তিনি সরকারি ভাবে বরখাস্তের চিঠির জন্য অপেক্ষা করছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, আমি ন্যায়ের জন্য লড়াই চালিয়ে যাবো এবং এই আদেশের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হব।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে গোরক্ষপুরের বি আর ডি মেডিক্যাল কলেজে অক্সিজেনের অভাবে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় প্রথম ডাঃ কাফিল খানের নাম সামনে আসে। ওই সময় তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে বেশ কিছু অক্সিজেন সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করে শিশুদের প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন বলে জানা গেছিলো।

যদিও পরে সরকারের পক্ষ থেকে ডাঃ কাফিল খান এবং ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরে সকলেই জামিনে ছাড়া পান। এরপর ডিসেম্বর ১০, ২০১৯-এ আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটিতে সিএএ বিরোধী এক সভায় তাঁর বক্তৃতার কারণে তাঁকে ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে এনএসএ-তে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ১ সেপ্টেম্বর ২০২০ এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশে তিনি ছাড়া পান। এলাহাবাদ হাইকোর্ট জানিয়েছিলো – ডাঃ খানের মন্তব্যে কোনো হিংসা ছড়ায়নি।

- with Agency Inputs

ডাঃ কাফিল খান ও যোগী আদিত্যনাথ
কাফিল খানের বিরুদ্ধে যোগী সরকারের দ্বিতীয় সাসপেনশন অর্ডারে স্থগিতাদেশ এলাহাবাদ হাইকোর্টের

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in