

জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলায় বম্বে হাইকোর্টেও স্বস্তি পেলেন না পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ২৩ মার্চ মুম্বইয়ের নিম্ন আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মমতা। কিন্তু সেই নির্দেশে হস্তক্ষেপ করেনি মহারাষ্ট্রের উচ্চ আদালত। বুধবার, মমতার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে বিচারপতি অমিত বোরকারের একক বেঞ্চ।
২০২১ সালের ১ ডিসেম্বর, মুম্বইয়ের কাফে প্যারেডে যশবন্তরাও চৌহাণ প্রেক্ষাগৃহে এক অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চেয়ারে বসে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার অভিযোগ ওঠে। এমনকি, জাতীয় সঙ্গীত পুরো না গেয়ে মাঝপথে মঞ্চ ছেড়ে চলে যান তিনি। এই অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মাঝগাঁও নগর দায়রা আদালতে জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার মামলা দায়ের করেন বিবেকানন্দ গুপ্তা নামে এক বিজেপি কর্মী।
প্রথমে কাফে প্যারেড থানায় অভিযোগও দায়ের করেন বিবেকানন্দ গুপ্তা। পুলিশ কোনও পদক্ষেপ না করায় মাঝগাঁও নগর দায়রা আদালতে অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর মামলার ভিত্তিতে মুখ্যমন্ত্রীকে সমন পাঠায় নগর দায়রা আদালত।
মুম্বইয়ের বিশেষ আদালতে এই সমনকে চ্যালেঞ্জ জানান মমতা। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে, মমতাকে পাঠানো সমনে পদ্ধতিগত ত্রুটি দেখিয়ে তা বাতিল করেন বিশেষ আদালতের বিচারক আরএন রোকড়ে। একইসঙ্গে, দায়রা আদলাতকে বিষয়টি পুনঃবিবেচনার জন্য পাঠান বিশেষ আদালতের বিচারক।
এরপর, এই মামলা খারিজের আবেদন নিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মমতা। কিন্তু, সেই আবেদনও খারিজ করে দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর আবেদনে বলেছিলেন, সমন বাতিল করার পরিবর্তে, পুরো অভিযোগটি বাতিল করা উচিত।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন
