

আস্থা ভোটে জিতেই বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তথা ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতা হেমন্ত সোরেন। রাজ্যে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি তাদের জয়ী আসনের অর্ধেকও ধরে রাখতে পারবে কিনা তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন হেমন্ত।
আর্থিক তছরূপ মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতারির আগেই ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন হেমন্ত সোরেন। মুখ্যমন্ত্রী হন জেএমএম নেতা চম্পাই সোরেন। পাঁচ মাস পর জেল থেকে বেরিয়ে গত সপ্তাহে ফের ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন হেমন্ত সোরেন। সোমবার অর্থাৎ আজ ছিল ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় ফ্লোর টেস্ট। আস্থা ভোটে ৮১ আসন বিশিষ্ট বিধানসভায় ৪৫টি ভোট যায় হেমন্তের পক্ষে।
আস্থা ভোটে জয়ের পরই নিজের গ্রেফতারির বিরুদ্ধে সরব হন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, "গণতন্ত্রের প্রাণ হল জনগণের কন্ঠ। যে স্বৈরাচারী শাসক এই কন্ঠকে দমানোর চেষ্টা করবে সে ব্যর্থ হবে"।
এদিন আস্থা ভোটের আগে বিধানসভায় বক্তব্য রাখেন হেমন্ত সোরেন। সেই সময় তুমুল বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। তাঁদের উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'বিধানসভা নির্বাচনে এই বিধায়কদের অর্ধেকও যদি জিততে পারে তাহলে সেটা হবে তাদের কাছে বড় প্রাপ্তি। কারণ লোকসভা নির্বাচনেই মানুষ বাস্তবতা তুলে ধরেছে। এখনও তো রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন বাকি রয়েছে'।
তিনি আরও জানান, 'গত আড়াই বছরে ঝাড়খণ্ডের নির্বাচিত সরকার ফেলতে বিজেপি যতটা শক্তি প্রয়োগ করেছে ওই একই শক্তি যদি ঝাড়খণ্ডের উন্নয়নের জন্য প্রয়োগ করত তাহলে লোকসভা নির্বাচনে আসন সংখ্যা কমে যেত না। বিজেপি মনে করেছিল যে অন্য রাজ্যের মতো ঝাড়খণ্ডেও এজেন্সির অপব্যবহার করে, অর্থ শক্তি প্রয়োগ করে জনগণের রায়কে কিনবে। কিন্তু তারা ভুলে যায় যে আমরা ঝাড়খণ্ডী। আমরা কখনও ব্রিটিশদের সামনে মাথা নত করিনি। ঝাড়খণ্ড মাথা নত করেনি, ঝাড়খণ্ডীরাও মাথা নত করবে না'।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জানুয়ারি জমি কেলেঙ্কারি মামলায় আর্থিক তছরূপের অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। ইডির গ্রেফতারির আগেই ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। ৬০০ কোটির জমি কেলেঙ্কারি মামলার সাথে যুক্ত একটি অর্থ পাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে সাতবার সমন করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি প্রতিবার সমন এড়িয়ে গিয়েছেন। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করেছিল ইডি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন