নোট বাতিলের পাঁচ বছর পূর্তিতে সোমবার নয়াদিল্লিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার বাইরে বিক্ষোভ দেখালো যুব কংগ্রেস। ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর কেন্দ্রীয় সরকারের ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করার পদক্ষেপের বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ দেখানো হয়। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এদিন বলা হয় নোটবাতিলের পদক্ষেপ দেশের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
আরবিআইয়ের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে আসা যুব কংগ্রেসের প্রধান শ্রীনিবাস বিভি এবং সংগঠনের অন্যান্য সদস্যদের মাঝপথেই আটকে দেওয়া হয়। পরে তাঁদের মন্দির মার্গ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
শ্রীনিবাস জানিয়েছেন: "পাঁচ বছর আগে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত নোটবাতিল দেশের অর্থনীতির গতি রুদ্ধ করে দিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর নোটবন্দির সিদ্ধান্ত মাস্টারস্ট্রোকের বদলে বিপর্যয় বলে প্রমাণিত হয়েছে। নোটবন্দীকরণের সাথে সন্ত্রাসবাদ দমনের দাবি 'জুমলা' বলে প্রমাণিত হয়েছে। নোটবন্দী দেশবাসীকে মন্দার দিকে ঠেলে দিয়েছে।"
যুব কংগ্রেস নেতা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার নোট বাতিলের সিদ্ধান্তকে যুক্তিগ্রাহ্য করার জন্য জাল নোটের প্রসঙ্গ টেনেছিলেন।
তাঁর দাবি, "ডিমনিটাইজেশন দুর্নীতির অবসান ঘটাতে পারেনি, সন্ত্রাসবাদকে আটকাতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রী যে নোটবন্দী করেছিলেন তা কোনো লক্ষ্যই পূরণ করতে সক্ষম হয়নি।" "মোদীজি এবং বিজেপি বলেছিল যে নোটবন্দি কালোবাজারি বন্ধ করবে এবং এতে দেশের উন্নতি হবে। কিন্তু সাম্প্রতিক তথ্য অনুসারে, ভারতের জিডিপি সর্বনিম্ন অঙ্কে রয়েছে, বেকারত্ব সর্বোচ্চ স্তরে এবং দারিদ্র্য ক্রমশ বাড়ছে।”
শ্রীনিবাস বলেন, "বিজেপি দেশকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। দেশের সমস্ত বড় এবং ছোট ব্যবসায়ীরা নোটবাতিলে প্রভাবিত হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মধ্যবিত্ত এবং দরিদ্র শ্রেণি।"
যুব কংগ্রেসের অভিযোগ, নোটবন্দি কালো টাকার বিরুদ্ধে নয়। বরং গরিব ও সাধারণ নাগরিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। যুব কংগ্রেস দাবি জানায়, নোটবন্দী তার লক্ষ্যে ব্যর্থ হয়েছে এবং এই পদক্ষেপে চূড়ান্ত ব্যর্থতার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।