

‘বন্দে মাতরম’ কবিতাকে সম্মান জানাতে ‘জন গণ মন’-র সঙ্গে একই আসনে বসানো হোক। সম্প্রতি এক জনস্বার্থ মামলার জেরে এই নিয়ে বুধবার কেন্দ্রের অবস্থান জানতে চেয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।
গতকাল মঙ্গলবার, ‘বন্দে মাতরম’ নিয়ে নির্দেশনা চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি নেতা ও আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্য়ায়। তার পরিপেক্ষিতেই এদিন দিল্লি আদালতের প্রধান বিচারপতি বিপিন সাঙ্ঘি এবং বিচারপতি শচীন দত্তের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিজেদের অবস্থান জানাতে বলেছেন।
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে ঐতিহাসিক ভূমিকা নিয়েছিল ‘বন্দে মাতরম’ কবিতা। তাই এই কবিতাটিকে সম্মান জানাতে ‘জন গণ মন’ কবিতার সঙ্গে একই আসনে বসানো হোক। একইসঙ্গে, প্রতিটি কাজের দিনে স্কুল ও সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘জন গণ মন’-র সঙ্গে ‘বন্দেমাতরম’ গান গাওয়ার দাবি জানিয়েছেন অশ্বিনী উপাধ্যায়। এর আগে একই দাবি কেন্দ্র ও দিল্লি সরকারের কাছে আবেদন রেখেছিলেন বিজেপি নেতা।
এই আবেদনে বলা হয়েছে, ‘বন্দে মাতরম’ আমাদের ইতিহাসের প্রতীক। দেশের নাগরিক হয়ে কেউ যদি এই গানকে প্রকাশ্যে অথবা গোপনে অসম্মান করে, তবে তা শুধু অসামাজিক কার্যকলাপ হিসেবে বিবেচিত হবে না। এটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে আমাদের সমস্ত অধিকার ও অস্তিত্বকে ধ্বংস করে দেবে। তাই দেশের সকল নাগরিককে এই ধরনের কার্যকলাপ থেকে দূরে থাকতে হবে।
একইসঙ্গে, আদালতে শুনানি কালে আবেদনকারী বিজেপি নেতা জানিয়েছেন, ‘এ নিয়ে সরকারের কোনও নির্দেশিকা নেই। তবে, গণপরিষদে ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদের বক্তব্যের বিপরীতে গিয়ে বন্দেমারতম গানটি বিকৃতভাবে পরিবেশন করা হচ্ছে।
জনস্বার্থ মামলায় দাবি করা হয়েছে, ‘১৯৫০ সালের ২৪ জানুয়ারি, গণপরিষদের চেয়ারম্যান ডক্টর রাজেন্দ্র প্রসাদ বলেছিলেন, জাতীয় সঙ্গীতের মতো একটি বিষয় অমীমাংসিত রয়েছে। এক সময় মনে করা হয়েছিল, বিষয়টি সংসদে উত্থাপন করা হবে এবং রেজুলেশনের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কিন্তু, এখন মনে হচ্ছে রেজুলেশনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত না নিয়ে, জাতীয় সঙ্গীতের বিষয়ে কেন্দ্রের পদক্ষেপ করা।‘
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন