

২০১৯ সালের জামিয়া হিংসা কাণ্ডের যাবতীয় অভিযোগ থেকে মুক্তি পেলেন জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র শারজিল ইমাম (Sharjeel Imam) ও তাঁর সঙ্গী আসিফ ইকবাল তনহা (Asif Iqbal Tanha)৷ শনিবার, দিল্লির সাকেত আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক আরুল ভর্মা তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন।
তবে, এখনই জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন না শারজিল ইমাম। তাঁর বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা রয়েছে৷ দিল্লি হিংসার (Delhi Violence) সময় উস্কানিমূলক ভাষণ দেওয়ার অভিযোগে, তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ (UAPA), সাম্প্রদায়িক হিংসা-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছিল দিল্লি পুলিশ৷ সেই মামলায় তাঁকে আপাতত জেলেই থাকতে হবে৷
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (CAA) বিরুদ্ধে পড়ুয়াদের আন্দোলন চলাকালীন অশান্তি বাধে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে। সেই সময় ক্যাম্পাসে ঢুকে ছাত্রছাত্রীদের উপর লাঠিচার্জ করতে দেখা যায় দিল্লি পুলিশকে। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে পুলিশ দাবি করে, আন্দোলনকারীদের হাতেই আহত হয়েছে পুলিশ অফিসারেরা।
এসময় শারজিল ইমাম, আসিফ ছাড়াও সফুরা জারগার, মহম্মদ ইলিয়াস, বিলাল নাদিম, শাহজার রজা খান, মাহমুদ আনোয়ার, মহম্মদ কাসিম, উমের আহমেদ, চন্দা যাদব, আবুজারের মতো একাধিক পড়ুয়া তথা সমাজকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা বাধানো, অনিচ্ছাকৃত খুনের চেষ্টা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দায়ের করে দিল্লি পুলিশ। শনিবার, সেই মামলাতেই মুক্ত পেলেন শারজিল ইমাম ও তানহা ৷
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন