Delhi: পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক অ্যাপ ক্যাব সংগঠনের

চালকদের দাবি, দিল্লি সরকার বা কেন্দ্রের উচিত বাস ও ক্যাব চালকদের ভর্তুকির দেওয়া।
ছবি - প্রতীকী
ছবি - প্রতীকী
Published on

গত মাসে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে চার রাজ্যে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে বিজেপি। তার আগে প্রায় চারমাস পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ঘটেনি। কিন্তু নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরে কয়েক দিনের মধ্যেই জ্বালানির দাম বৃদ্ধি পায় তারপর থেকে ক্রমশ মূল্যবৃদ্ধি ঘটতে থাকে। শুধু জ্বালানি নয়, রান্নার গ্যাসের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে।

আমজনতার হেঁসেলে তার প্রভাব পড়েছে। মধ্যবিত্তের পকেটে টান। লাগাতার পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধির জের পড়েছে পরিবহণেও। পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এবার পথে নামলেন ক্যাব চালকরা। পেট্রোল ডিজেল-সহ সিএনজির দাম কমানোর দাবিতে দিল্লির যন্তর মন্তরে আন্দোলনে করলেন তারা।

এই আন্দোলনকে সমর্থন করেছে দিল্লি ট্যাক্সি, ট্যুরিস্ট ট্রান্সপোর্টার্স ও ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন, দিল্লির সর্বোদয়া ড্রাইভার অ্যাসোসিয়েশন, এক্সপার্ট ড্রাইভার সলিউশন, সর্বোদয় ড্রাইভার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনও এই বিক্ষোভে শামিল হন। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত আন্দোলন করেছিলেন তাঁরা। জ্বালানির দাম না কমলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাকও দেওয়া হয়েছে।

দিল্লি ট্যাক্সি, ট্যুরিস্ট ট্রান্সপোর্টার্স ও ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সঞ্জয় সম্রাট বলেন, 'সিএনজি ও জ্বালানির ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধিতে পরিবহণ ব্যবসা সংকটে পড়েছে। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন ক্যাব ও ট্যাক্সি চালকরা।' তাঁর অভিযোগ, সিএনজির দাম প্রতি কেজিতে প্রায় ৭০ টাকা। ভাড়া না বাড়ানোয় ক্ষতির বাড়ছে পরিবহণ ব্যবসায়ীদের। মহামারির সময়ে দু বছর ব্যবসা মার খেয়েছে। এখন এতদিন পর আবার আয়ের আশা করছেন ট্যাক্সি, ক্যাব চালকরা। কিন্তু এভাবে দাম বাড়তে থাকলে ট্যাক্সি অথবা ক্যাব চালানো দুষ্কর।'

এদিকে চালকদের দাবি, দিল্লি সরকার বা কেন্দ্রের উচিত বাস ও ক্যাব চালকদের ভর্তুকির দেওয়া। সর্বোদয় ড্রাইভার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রবি রাঠোরের বক্তব্য, ‘আমাদের দাবি হয় জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে ভাড়া বাড়াতে হবে। নয়তো অবিলম্বে জ্বালানির দাম কমাতে হবে।'

ভারতীয় বেসরকারি পরিবহণ মজদুর মহা সঙ্ঘের সভাপতি রাজেন্দ্র সোনি বলেন, 'দাবি না মানলে আমরা ১৮ এপ্রিল থেকে লাগাতার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছি। গত ২-৩ বছরে সিএনজির দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। সরকার মদে ছাড় ও বিদ্যুতের খরচে ভর্তুকি দিলেও আমাদের জন্য লকিছুই করেনি।'

ছবি - প্রতীকী
সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের প্রভাব বেঙ্গালুরুর ‘সিলিকন ভ্যালি’তে - রাজ্য ছাড়তে চাইছে একাধিক সংস্থা

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in