‘মৃত্যুদুর্গ’ সেন্ট্রাল ভিস্তা বন্ধ হোক - আদালতে ইতিহাসবিদ

দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেছেন ইতিহাসবিদ সোহেল হাশমি এবং অন্যা মালহোত্রা
সেন্ট্রাল ভিস্তা
সেন্ট্রাল ভিস্তাফাইল চিত্র
Published on

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সেন্ট্রাল ভিস্তা আসলে মৃত্যু দুর্গ। এই প্রকল্পকে তুলনা করা হল হিটলারের আউশভিৎজ কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের সঙ্গে। করোনা মহামারীর বর্তমান কঠিন পরিস্থিতিতে এই মেগা প্রজেক্ট বন্ধ করার দাবিতে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা হয়। যদিও মামলার রায়দান স্থগিত রয়েছে।

জনস্বাস্থ্যের কথা ভেবে এই প্রকল্প অবিলম্বে বন্ধ হওয়া দরকার, এই দাবি জানিয়ে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের নির্মাণ বন্ধের দাবিতে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন ইতিহাসবিদ সোহেল হাশমি এবং অনুবাদক অন্যা মালহোত্রা। মামলাকারীদের পক্ষে আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরা বলেন, তাঁরা শুধু দিল্লির মানুষের জনস্বাস্থ্যের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করছেন। শ্রমিকদের জন্য তাঁবু খাটানো হলেও বিছানা নেই। চিকিৎসার পরিষেবা, কোভিডবিধি নিয়ে মিথ্যে বলছে কেন্দ্র। প্রচার করা হচ্ছে, শ্রমিকরা স্বেচ্ছায় কাজের জায়গায় থেকে গিয়েছেন, যা সত্যি নয়।

তিনি আউশভিৎজের জার্মান কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের সঙ্গেও তুলনা করে এই প্রকল্পকে ‘সেন্ট্রাল ফোর্টেস অব ডেথ’ অর্থাৎ ‘কেন্দ্রীয় মৃত্যুদুর্গ’ বলে উল্লেখ করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলারের জার্মানি পোল্যান্ডের আউশভিৎজের যুদ্ধবন্দিদের জন্য কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প তৈরি করেছিল। সেখানে অসংখ্য মানুষের মৃত্যু হয়। পালটা সওয়াল তুলে কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা জানান, ২০ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প নিয়ে কিছু মানুষের শুরু থেকেই আপত্তি ছিল। কেন্দ্র ওই এলাকায় কোভিডবিধি পালনের সব ব্যবস্থা করেছে। মামলাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে খারিজ করে দেওয়া উচিত বলে দাবি জানান তিনি।

প্রকল্পের বরাত পাওয়া শাপুরজি পালনজি সংস্থাও জনস্বার্থ মামলার বিরোধিতা করেছে। যদিও দিল্লি হাইকোর্ট শেষপর্যন্ত রায়দান স্থগিত রেখেছে। প্রসঙ্গত, মোদি সরকার এই প্রকল্পকে ‘অত্যাবশ্যকীয় প্রকল্প’-এর তকমা দিয়েছে। যার ফলে কাজ চলাকালীন ওই এলাকায় প্রবেশ করা বা ছবি তোলা নিষেধ।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in