সিঙ্ঘু সীমান্তে গ্রেপ্তার দলিত মহিলা সমাজকর্মী নোদীপ কাউরকে পুলিশ হেপাজতে অত্যাচারের অভিযোগ

দলিত শ্রম অধিকার কর্মী নোদীপ কউর
দলিত শ্রম অধিকার কর্মী নোদীপ কউরফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

গত ১২ জানুয়ারি সিঙ্ঘু সীমান্তের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় প্রতিবাদরত মজদুর অধিকার সংগঠনের (এমএএস)-এর মহিলা নেত্রী তথা দলিত শ্রম অধিকার কর্মী নোদীপ কউরকে। এখনও পর্যন্ত দু'বার তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, জেলের ভিতরেই তাঁর উপর পাশবিক অত্যাচার করা হচ্ছে। এমনকী, তাঁর উপর যৌন হেনস্থাও চলছে।

জানা গিয়েছে, ভারতীয় সংবিধানের ৩০৭ ধারা(খুনের চেষ্টা)-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মোট তিনটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে নোদীপের বিরুদ্ধে। হাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দাঙ্গা, বেআইনিভাবে জমায়েত, উস্কানিমূলক মন্তব্য, তোলাবাজি, হেনস্তাজ অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। আদালতে দু'টি শুনানি চলাকালীনই তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগের কথা মাথায় রেখে জামিনের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, নোদীপের আইনজীবী জীতেন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, মেডিক্যাল রিপোর্টে নোদীপের গোপনাঙ্গে ও শরীরে একাধিক ক্ষতর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। পড়ুয়া ও সমাজকর্মী নোদীপের বোন রাজবীর কউর দাবি করেছেন, পুলিশ হেপাজতে তাঁর উপর পাশবিক অত্যাচার চলেছে। পুরুষ পুলিশ অফিসার তাঁকে গ্রেপ্তার করার সময় নোদীপের জামাকাপড় ছিঁড়ে গিয়েছিল বলেও অভিযোগ করেন তিনি। যদিও হরিয়ানা পুলিশের অফিসাররা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

নোদীপ দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য লকডাউনে একটি কারখানায় পার্টটাইম কাজ করেন। তিনি পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে সিঙ্ঘু সীমান্তের কাছে কুণ্ডলি শিল্পাঞ্চল এলাকায় জড়ো হয়েছিলেন কৃষকদের আন্দোলনে সামিল হতে। সেখানে 'কিষান মজদুর একতা জিন্দাবাদ' স্লোগান দিচ্ছিলেন তাঁরা। তখনই গ্রেপ্তার করা হয় নোদীপকে।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in