

জাতপাতের স্বীকার হয়ে আত্মঘাতী হওয়ার অভিযোগ উঠলো দেশের প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। এই ঘটনায় তোলপাড় জাতীয় রাজনীতি। রবিবার বিকেলে আইআইটি বোম্বের ক্যাম্পাসে আত্মঘাতী হয়েছেন ১৮ বছরের এক পড়ুয়া। নাম দর্শন সোলাঙ্কি ( Darshan Solanki)। অভিযোগ উঠেছে, জাতপাত নিয়ে কটাক্ষ ও লাগাতার বিদ্রুপের জেরেই আত্মঘাতী হয়েছেন বোম্বে আইআইটির প্রথম বর্ষের পড়ুয়া।
আইআইটি বোম্বের (IIT Bombay) পওয়াই ক্যাম্পাসে এই ঘটনা ঘটেছে। সাততলা হস্টেলের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে সোলাঙ্কি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অভিযোগ। তবে সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি।
নিহত সোলাঙ্কি দর্শনের বাড়ি গুজরাটের আহমেদাবাদে। সামাজিক বাধাবিপত্তি পেরিয়ে উচ্চশিক্ষিত হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন সোলাঙ্কি। মেধার জোরে মাস তিনেক আগে আইআইটি বম্বে-তে ভর্তি হন সোলাঙ্কি। বিটেক পড়ছিলেন তিনি। শনিবার তাঁর প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা শেষ হয়। একদিন না পেরোতেই আত্মঘাতী হন তিনি।
জাতপাত নিয়ে আপমানিত হওয়ায় এই চরম পথ বেছে নিয়েছেন সোলাঙ্কি? তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে তাঁর সহপাঠীদের কথায়। তাঁদের দাবি, ক্যাম্পাসে দলিত পড়ুয়াদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়। দর্শন সোলাঙ্কির সাথেও খারাপ আচরণ করা হয়েছিল।
একই অভিযোগ IIT বোম্বের আম্বেদকর পেরিয়ার ফুলে স্টাডি সার্কেলের। তাদের তরফে দাবী করা হয়েছে, 'দলিত ছাত্রের মৃত্যু কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটা প্রাতিষ্ঠানিক খুন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের জাতপাতের সংরক্ষণ নিয়ে নানা কটূক্তি শুনতে হয়।'
এক টুইট বার্তায় APPSC (আম্বেদকর পেরিয়ার ফুলে স্টাডি সার্কেল) IIT Bombay জানিয়েছে, '১৮ বছর বয়সী দলিত ছাত্র দর্শন সোলাঙ্কির মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। ৩ মাস আগে আইআইটি বোম্বের BTech কোর্সে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। আমাদের অবশ্যই বুঝতে হবে যে এটি কোনও ব্যক্তিগত সমস্যার বিষয় নয়৷ একটি প্রাতিষ্ঠানিক খুন।'
আর, এই ঘটনার মধ্যে আরেক পড়ুয়ার মৃত্যুর খবর মিলেছে। অন্ধ্রপ্রদেশের IIIT আরকে ভ্যালি'র হোস্টেলে ২২ বছর বয়সী এক ছাত্রীর মৃতদেহ মিলেছে। জানা যাচ্ছে, নিহত পড়ুয়ার নাম আখিলা, ইঞ্জিনিয়ারিং-এর শেষ বর্ষের ছাত্রী। কুয়েতে কর্মরত এক শ্রমিকের মেয়ে আখিলা। এক্ষেত্রেও কোনো সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। পুলিশ এই মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন