

সবরমতী আশ্রমকে সাজিয়ে বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্র তৈরি করবে কেন্দ্রীয় সরকার। তার ফলে অন্যত্র চলে যেতে হবে ঐ আশ্রমে বসবাসকারী প্রায় শতাধিক দলিত পরিবারকে। যার বিরোধিতা করে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন তুষার গান্ধী। আদালতে বৃহস্পতিবার তা খারিজ হয়।
মহাত্মা গান্ধীর সবরমতী আশ্রমে এতদিন বাস করতেন বহু দলিত পরিবার। যাঁরা হরিজন নামে পরিচিত। এবার তাঁদের আশ্রম ছেড়ে চলে যতে হবে অন্য জায়গায়। অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। পরিবারগুলির কথা ভেবে গুজরাট হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন গান্ধীজীর প্রপৌত্র তুষার গান্ধী।
তুষারের বক্তব্য, কেন্দ্রের এই প্রকল্প গান্ধীজীর চিন্তাধারার বিরুদ্ধে। গান্ধীজীর মতাদর্শের সাথে বিজেপির মতাদর্শ মেলে না। বিচারপতি অরবিন্দ কুমার এবং বিচারপতি এ জে শাস্ত্রীর বেঞ্চ আবেদন খারিজ করে দেয়। বেঞ্চের তরফ থেকে বলা হয়, প্রকল্পটির মাধ্যমে গান্ধীর চিন্তাধারা কোনও ভাবেই ক্ষুণ্ণ হবে না। এর ফলে সমাজ ও মানবজাতির কল্যাণ হবে।
আদালত এও বলে, আশা করা যায় সরকার আশ্রমের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। পাঁচ একরের আশ্রমের কোনও ক্ষতি করবে না সরকার। আশ্রম যেমন ছিল ঠিক তেমনি রাখবে সরকার। ফলে গুজরাট সরকারের কোনও বাধা থাকল না প্রকল্পটির ক্ষেত্রে।
কেন্দ্রীয় সরকার সবরমতী আশ্রমকে বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্র রূপে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিতে চাইছে। কেন্দ্র ও গুজরাট সরকারের যৌথ উদ্যোগেই এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করতে ১ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচা হবে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন