
ইয়াসের থেকেও প্রাধান্য বেশি পেল করোনা আক্রান্তদের জন্য অক্সিজেন। ঘূর্ণিঝড়ের দাপটেও কর্তব্যে অবিচল রইল ওডিশা প্রশাসন। ওডিশার অক্সিজেন প্লান্ট থেকে ভিন রাজ্যে অক্সিজেন ট্যাংকার পাঠানোর পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালেও নির্দিষ্ট সময়েই পৌঁছে দেওয়া হল অক্সিজেন।
বুধবার সকাল ন’টা নাগাদ ওডিশায় আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সারা দিন রাত ধরেই চলে বৃষ্টিপাত। গাছপালা ভেঙে পড়ে বহু জায়গায় বিদ্যুৎ পরিষেবাও বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। রাস্তাঘাট পরিষ্কারের পাশাপাশিই অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থাও যাতে কোনওভাবে প্রভাবিত না হয়, সেই বিষয়ে নজর রাখতে বলা হয়।
ওডিশা পুলিশের এডিজি যশবন্ত কুমার জেঠওয়া জানান, ওডিশা বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের ৬০টি দলকে বিভিন্ন জেলায় ঝড়বৃষ্টিতে যে সমস্ত গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছিল, তা দ্রুত পরিষ্কার করে জাতীয় সড়ক খালি রাখার জন্য পাঠানো হয়েছিল। অক্সিজেন ট্যাংকারগুলি যাতে কোনও বাধা বিপত্তির সম্মুখীন না হয়, তার জন্যও আগেভাগেই পরিকল্পনা করা ছিল।
রাজ্য প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার অঙ্গুল থেকে মোট চারটি অক্সিজেন ট্যাংকার হায়দরাবাদ ও বিশাখাপত্তনমে পাঠানো হয়। রাজ্যের মধ্যে জাজপুর থেকে দুটি ট্যাংকার বেরহামপুর ও ভূবনেশ্বরে পাঠানো হয়। উল্লেখ্য, দেশে অক্সিজেন সংকট দেখা দেওয়ার পরই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল ওডিশা প্রশাসন। বিগত ৩৪ দিনে গ্রিন করিডরের মাধ্যমে মোট ২২৫৪২.৮৯৫ মেট্রিক টন অক্সিজেন বিভিন্ন রাজ্যে পাঠানো হয়েছে।
বুধবারই ইয়াসের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য ৭ দিনের ত্রাণের ব্যবস্থার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পটনায়েক। জানা গিয়েছে উপকূলীয় প্রায় ১২৮টি গ্রাম জলমগ্ন হয়েছে। জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলো মেরামত করে ও বিদ্যুতের খুঁটি ঠিক করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হবে বলে জানিয়েছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন