জি-২৩ নিয়ে বিবাদের মাঝেই কংগ্রেস কর্মসমিতির বৈঠকে সোনিয়া গান্ধী জানালেন – তিনিই পূর্ণ সময়ের সভানেত্রী। শনিবার সকালে দিল্লিতে কংগ্রেস কর্মসমিতির বৈঠক শুরু হয়েছে। এই বৈঠকে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন প্রসঙ্গে সিদ্ধান্ত নেবার কথা থাকলেও শুরুতেই সোনিয়া গান্ধী জানান, তিনিই পূর্ণ সময়ের সভানেত্রী।
এর আগে বেশ কিছুদিন ধরে দফায় দফায় দলে নেতৃত্বের প্রশ্নে বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতৃত্বের এক অংশ দল পরিচালনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। জি-২৩ নামে খ্যাত বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতৃত্বের এই জোট সম্পর্কে এর আগে কখনও মুখ খোলেননি সোনিয়া গান্ধী।
এদিন সোনিয়া স্পষ্টই প্রারম্ভিক ভাষণে জানান – যদি আপনারা আমাকে অনুমতি দেন তাহলে আমি পূর্ণ সময়ের কংগ্রেস সভাপতি হতে রাজি। এদিন সোনিয়া আরও বলেন, আমি বরাবরই খোলামেলা পরিবেশে বিশ্বাসী এবং আমার কথা বলার জন্য মিডিয়াকে ব্যবহার করার কোনো প্রয়োজন আমার নেই।
তিনি আরও বলেন, দলকে এগিয়ে নিয়ে যাবার স্বার্থে দলের ভেতরে মুক্ত এবং সৎ আলোচনা হতেই পারে। কিন্তু আমরা এই চার দেওয়ালের বাইরে যা বলবো তা অবশ্যই কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুসারে বলা হবে।
এদিন সোনিয়ার বক্তব্যে উঠে এসেছে দেশের সাম্প্রতিক সমস্যার কথাও। বিশেষ করে কৃষি আইন বাতিলের দাবীতে দীর্ঘ ১০ মাসের বেশি সময় ধরে চলা কৃষক আন্দোলন নিয়েও তিনি বক্তব্য রাখেন। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে মহামারীর কথা।
দলের সাংগঠনিক নির্বাচন প্রসঙ্গে সোনিয়া গান্ধী জানান, পুরো সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর প্রয়োজন আছে। কিন্তু তার জন্য দলের ঐক্য, দলের স্বার্থ সবার আগে দেখা প্রয়োজন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন