

গত মে মাস থেকে মণিপুরে যে হিংসার ঘটনা ঘটছে সেই সম্পর্কে দেশের প্রতি চার জন মানুষের মধ্যে তিনজনই সচেতন। CVoter পরিচালিত এক সমীক্ষা থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, এক বড়ো অংশের মানুষ চাইছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই বিষয়ে ব্যক্তিগতভাবে হস্তক্ষেপ করুন। মণিপুরে হিংসা বন্ধ করতে প্রধানমন্ত্রী মোদির ব্যক্তিগতভাবে হস্তক্ষেপ করা উচিত কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে সামগ্রিকভাবে ৮০ শতাংশ উত্তরদাতা ইতিবাচক উত্তর দিয়েছেন।
সমীক্ষার রিপোর্ট জানাচ্ছে এনডিএ এবং বিরোধী সমর্থকদের মধ্যে এই বিষয়ে কোনও উল্লেখযোগ্য মতপার্থক্য নেই। বিরোধী নেতাদের অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী দু’মাসের বেশি সময় ধরে মণিপুর হিংসার ঘটনা প্রসঙ্গে চুপ করে থেকেছেন।
এই জনমত সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষজন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন. বীরেন সিং-এর পদত্যাগ চেয়েছেন৷ CVoter সমীক্ষায় উত্তরদাতাদের প্রায় ৬০ শতাংশের মতামত যে বীরেন সিংকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে।
এক চতুর্থাংশেরও কম অংশগ্রহণকারী তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বহাল থাকার পক্ষে মত দিয়েছেন। প্রায় অর্ধেক এনডিএ সমর্থক মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং-এর পদত্যাগ চেয়েছেন এবং মাত্র তৃতীয়াংশ চেয়েছেন তাঁর পদে থাকার পক্ষে মত দিয়েছেন। উত্তরদাতাদের মধ্যে, যারা বিরোধী দলকে সমর্থন করেন, তাদের দুই তৃতীয়াংশেরও বেশি চান তিনি অবিলম্বে পদত্যাগ করুন।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের এই রাজ্য এই বছরের ৩ মে থেকে জাতিদাঙ্গায় বিধ্বস্ত। মণিপুর হাইকোর্ট আদিবাসী মেইতি উপজাতিকে তফসিলি উপজাতির মর্যাদা দেওয়ার আদেশ দিলে কুকি উপজাতির সদস্যরা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়। এরপরেই দুই পক্ষে দাঙ্গা বেধে যায়।
মণিপুর হাইকোর্টের সেই আদেশে স্থগিতাদেশ জারি করে এবং মণিপুর হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে তিরস্কার করে শীর্ষ আদালত। কুকি সম্প্রদায়ের সদস্যদের বিক্ষোভ দ্রুত ভয়ঙ্কর হিংসায় পরিণত হয়। কারণ দুই সম্প্রদায়ের জঙ্গি অংশ একে অপরের উপর ক্রমাগত আক্রমণ শুরু করে, পুলিশ পোস্ট এবং অস্ত্রাগারগুলিতে আক্রমণ করে এবং অস্ত্র লুট করে।
মণিপুরে হিংসা চলাকালীন মহিলারা নির্মমভাবে লাঞ্ছিত এবং গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন, যা দেশব্যাপী তীব্র ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট যৌন নিপীড়নের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছে। এই ইস্যুতে সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশন বারবার ব্যাহত হয়েছে। মণিপুরের হিংসার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৬০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন