

অপরিশোধিত তেলের দাম কমলেও, সেই সুবিধা সাধারণ মানুষকে দিচ্ছে না মোদী সরকার। এমনই অভিযোগ তুলে সরব হলো কংগ্রেস।
বুধবার, দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসের মুখপাত্র গৌরব বল্লভ বলেন, 'গত এক বছরে অপরিশোধিত তেলের দাম ১৬ টাকা ৭৫ পয়সা কমেছে। ২০২২ সালের মার্চে, অপরিশোধিত তেলের দাম ছিল প্রতি লিটার ৫৩ টাকা ৪৫ পয়সা। এ বছর তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬ টাকা ৬৮ পয়সা। তাই, দাম কমার এই সুবিধা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া উচিত। কিন্তু, সরকার তা না করে মুনাফা লুটছে।‘
তিনি জানান, ‘ভারত সরকারের পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রকের (MoPNG) তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালের মে মাসে অপরিশোধিত তেলের দাম ছিল ব্যারেল পিছু ১০৯.৫ ডলার। আর, ২০২৩ সালের ২০ মার্চ, অপরিশোধিত তেলের দাম হয়েছে ব্যারেল পিছু ৭০.৬৯ ডলার।‘
কংগ্রেস নেতা দাবি করেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে গত ৩০৫ দিনে অপরিশোধিত তেলের দাম লিটার প্রতি ১৬ টাকা ৭৫ পয়সা কমেছে। আবগারি শুল্ক কমানো ছাড়াই যদি এই একই সুবিধা গ্রাহকদের দেওয়া হয়, তাহলে পেট্রোল এবং ডিজেলের মূল্য ১৬ টাকা ৭৫ পয়সা কমবে। কিন্তু, মোদী সরকার তা করছে না। তাই, আমরা দাবি জানাচ্ছি - আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের মূল্য হ্রাসের এই সুবিধা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে।‘
তিনি জানান, গত নয় মাসে সস্তায় রাশিয়ার কাছে থেকে যে অপরিশোধিত তেল আমদানি করা হচ্ছে, তার মূল্যও ব্যারেল পিছু ২ ডলার করে কমেছে।
বুধবার, ১ মার্কিন ডলারের মূল্য ছিল ৮০ টাকা ৬০ পয়সা।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন