

ঝাড়খণ্ডের ৯টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন সিপিআইএম প্রার্থীরা। ইতিমধ্যেই সকল প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে সিপিআইএম ঝাড়খণ্ড নেতৃত্ব।
নভেম্বর মাসে দু'দফায় ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন। বিজেপির বিরুদ্ধে ইন্ডিয়া মঞ্চ একজোট হয়ে লড়বে বলে আগেই ঘোষণা করেছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তথা ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতা হেমন্ত সোরেন। বাম দলগুলিকেও আসন ছাড়া হবে বলে জানান তিনি। সেই মতো প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে সিপিআইএম। সিপিআইএম-র একাধিক প্রার্থী ইতিমধ্যেই মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
৯ আসনে মধ্যে বহড়াগড়া কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছেন দলের রাজ্য কমিটির সদস্য স্বপন মাহাতো। ছাতরা (এসসি) কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছে পুন ভুঁইয়কে, জামতারা কেন্দ্রের সিপিআইএম প্রার্থী হলেন লখন লাল মন্ডল, পাকুড় কেন্দ্রের প্রার্থী মহম্মদ শেখ সফিউদ্দিন। মহেশপুর (এসটি) আসনে প্রার্থী গোপিন সোরেন, জামা (এসটি) কেন্দ্রের প্রার্থী করা হয়েছে সনাতন দেহরিকে। মন্দার (এসটি) কেন্দ্রের প্রার্থী কীর্তি সিং মুন্ডা, সিসাই (এসটি) আসনে প্রার্থী মাধূওয়া কাচ্চাপ এবং তামার (এসটি) কেন্দ্রের সিপিআই(এম) প্রার্থী হলেন সুরেশ মুন্ডা।
বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দেন স্বপন মাহাতো, মাধূওয়া কাচ্চাপ, কীর্তি সিং মুন্ডা এবং সুরেশ মুন্ডা। কয়েকশ বাম কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করে মনোনয়ন জমা দিতে যান সিপিআইএম প্রার্থীরা। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর সিপিআইএম প্রার্থীরা জানান, বিজেপি সাম্প্রদায়িক রাজনীতির সৃষ্টি করছে। যা ভারতের ক্ষেত্রে বিপদজনক। এর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই আগেও ছিল। এখনও চলছে।
প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছিল ঝাড়খণ্ডের ৮১টি আসনের মধ্যে জেএমএম-এর ভাগে থাকবে ৫০টি আসনে এবং কংগ্রেসের ভাগে থাকবে ৩১টি। যার মধ্যে জেএমএম নিজেদের ভাগের আসন থেকে বাম দলগুলিকে ছাড়বে এবং কংগ্রেস তাদের ভাগের আসন থেকে আরজেডিকে আসন ছাড়বে। যদিও পরে এই রফা ভেঙে যায়। পরে আরজেডি আসন সংখ্যা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী, ঝাড়খণ্ডের ৮১টি আসনে ভোট হবে দু'দফায়। আগামী ১৩ নভেম্বর ৪৩টি আসনে এবং ২০ নভেম্বর ৩৮টি আসনে নির্বাচন হবে। ঝাড়খণ্ডের প্রথম দফার ভোটের মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ অক্টোবর। দ্বিতীয় দফার ভোটের মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৯ অক্টোবর। ফলাফল ঘোষণা হবে ২৩ নভেম্বর।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন
