'সুপ্রিম' রায়ের পরও দিল্লিতে ক্ষমতার রাশ নিয়ন্ত্রণে রাখতে অর্ডিন্যান্স জারি কেন্দ্রের, ক্ষুব্ধ আপ

আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং বলেন, এই অধ্যাদেশ প্রমান করে যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী একজন স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী। তিনি সুপ্রিম কোর্টের আদেশ মানেন না।
 দিল্লিতে ক্ষমতার রাশ নিয়ন্ত্রণে রাখতে অর্ডিন্যান্স জারি কেন্দ্রের
দিল্লিতে ক্ষমতার রাশ নিয়ন্ত্রণে রাখতে অর্ডিন্যান্স জারি কেন্দ্রেরগ্রাফিক্স - সুমিত্রা নন্দন

ক্ষমতার রাশ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে আবার সংঘাতের পথে হাঁটল কেন্দ্রের মোদী সরকার।

দিল্লিতে প্রশাসনিক ক্ষমতার ভরকেন্দ্রে কেন্দ্র নয়, দিল্লির নির্বাচিত সরকারই থাকবে বলে রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু, সর্বোচ্চ আদালতের সেই নির্দেশ অমান্য করে শুক্রবার অধ্যাদেশ এনেছে মোদী সরকার। যেখানে, ন্যাশনাল ক্যাপিটাল সিভিল সার্ভিস অথারিটি তৈরির প্রস্তাব আনা হয়।

অধ্যাদেশে বলা হয়, আমলাদের নিয়োগ ও বদলির সিদ্ধান্ত নেবে এই কর্তৃপক্ষ। এই কমিটিতে থাকবেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিব। কমিটির চেয়ারপার্সন হবেন মুখ্যমন্ত্রী। ট্রান্সফার পোস্টিং, ভিজিলেন্স এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হলে সদস্যদের ভোটের ভিত্তিতে নিতে হবে। শুধু তাই নয়, কমিটির সদস্যরা যদি ঐক্যমতে পৌঁছতে না পারেন, তখন লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে।

এই অধ্যাদেশ নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে নিশানা করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। শনিবার, সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি অভিযোগ করেন, সুপ্রিম কোর্টের মর্যাদাকে অপমান করেছে কেন্দ্র সরকার।

এই ইস্যুতে আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং বলেন, এই অধ্যাদেশ প্রমান করে যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী একজন স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী। তিনি সুপ্রিম কোর্টের আদেশ মানেন না। সুপ্রিম কোর্টের আদেশে বলা হয়েছিল দিল্লির সমস্ত ক্ষমতা নির্বাচিত সরকারের কাছে থাকতে হবে, কিন্তু মোদী সরকার একটি অধ্যাদেশ এনে এই সিদ্ধান্তকে উল্টে দিয়েছে। এই অধ্যাদেশ সুপ্রিম আদালতের আদেশের পরিপন্থী।

শিক্ষামন্ত্রী অতীশি মার্লেনা (Atishi Marlena) বলেন, ‘অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কর্তৃত্ব পাওয়ার আশঙ্কা থেকেই কেন্দ্রীয় সরকার এই অধ্যাদেশ নিয়ে এসেছে। এটা অদ্ভুত যে দিল্লির মানুষ অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ৯০% আসন দিয়েছেন, কিন্তু অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লির সরকার চালাতে পারেন না। তার প্রতিটি কাজে হস্তক্ষেপ করছে কেন্দ্র।’

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এক রায়ে দিল্লির আমলাদের বদলি বা নিয়োগের ক্ষমতা দিল্লি সরকারের হাতে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় আদেশটি পড়ে শোনানোর সময় বলেন, 'যদি একটি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে তার কর্মকর্তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে এবং তাদের জবাবদিহি করার অনুমতি না দেওয়া হয়, তাহলে আইনসভা এবং জনসাধারণের প্রতি সরকারের দায়বদ্ধতা ক্ষীণ হয়ে যায়। যদি একজন সরকারি আধিকারিক সরকারকে তাঁর কাজের ব্যাখ্যা না দেন, তাহলে সম্মিলিত দায়বদ্ধতা হ্রাস পায়। যদি একজন কর্মকর্তা মনে করেন তারা নির্বাচিত সরকারের অংশ নন, তাহলে তাঁরা সরকারকে জবাবদিহি করার প্রয়োজন মনে করবেন না।'

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in