Digha: দিঘার 'জগন্নাথধাম' নিয়ে বিতর্ক! অভ্যন্তরীণ তদন্তের নির্দেশ ওড়িশা সরকারের

People's Reporter: ওড়িশার আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের প্রধান প্রশাসক অরবিন্দ কুমার পাধীকে চিঠি লিখে দিঘার মন্দির নিয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
দিঘার জগন্নাথ মন্দির
দিঘার জগন্নাথ মন্দিরছবি - সংগৃহীত
Published on

গত বুধবার অক্ষয় তৃতীয়ার দিন দ্বারোদ্ঘাটন হয়েছে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের। এবার সেই মন্দির নিয়ে খোঁজখবর শুরু করল ওড়িশা সরকার। মন্দির উদ্বোধনের দিন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সেবায়েতদের মধ্যে কারা কারা উপস্থিত ছিলেন, কোন কাঠ ব্যবহার করে মন্দিরের বিগ্রহ তৈরি হয়েছে, সেই সমস্ত জানার জন্য তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ওড়িশা সরকার।

এক সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওড়িশার আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের প্রধান প্রশাসক অরবিন্দ কুমার পাধীকে চিঠি লিখে দিঘার মন্দির নিয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। উল্লেখ্য, দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের দিন উপস্থিত ছিলেন পুরীর মন্দিরের অন্যতম প্রধান সেবায়েত রাজেশ দয়িতাপতি। তাঁর নেতৃত্বেই পুরোহিতেরা দিঘার মন্দিরের বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

অন্যদিকে, দিঘার জগন্নাথ বিগ্রহ নির্মাণ নিয়েও শুরু হয়েছে জল্পনা। পুরীর জগন্নাথ বিগ্রহ নির্মাণে ব্যবহৃত নিমকাঠের উদ্বৃত্ত দিয়ে দিঘার মন্দিরের মূর্তি তৈরি হয়েছে, এমন অভিযোগ উঠছে। এই জল্পনার সত্যতা যাচাই করতে অভ্যন্তরীণ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ওড়িশা সরকার।

সংবাদমাধ্যমকে পৃথ্বীরাজ বলেন, “এই বিতর্ক জগন্নাথভক্ত ও ওড়িশার মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত করেছে। তদন্তের উদ্দেশ্য হলো ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে, প্রয়োজনে রাজ্য সরকারের অনুমতি নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা ও শাস্তির ব্যবস্থা করা। মন্দির নির্মাণ এবং প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সেবায়েতদের উপস্থিত থাকা নিয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধির প্রেক্ষিতেই সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে”।

নির্দেশে বলা হয়েছে, “যদি এই ঘটনায় কেউ দোষী প্রমাণিত হন বা জেনেশুনে এমন কাজ করে থাকেন, তবে রাজ্য সরকারের অনুমতি নিয়ে শাস্তির বিধান দেওয়া যেতে পারে”।

এমনকি দিঘার মন্দিরের নাম ‘জগন্নাথধাম দিঘা’ রাখা নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়েছে। সারা দেশে চারটি ‘ধাম’ ধর্মীয় এবং ঐতিহাসিক ভাবে স্বীকৃত। কেন দিঘার মন্দিরকে ধাম বলা হচ্ছে, তা নিয়ে আপত্তি তুলেছেন অনেকে।  

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in