

করোনার ভয়াবহ দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যেই দিল্লির জন্য নতুন আইন নিয়ে এলো কেন্দ্রীয় সরকার। নতুন এই আইন বলে দিল্লি সরকারের ক্ষমতা আরও খর্ব হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এই আইনের লাগু হবার পর ‘গভর্নমেন্ট অফ দিল্লি’র = ‘লেফট্যানান্ট গভর্নর অফ দিল্লি’ এবং তিনিই দিল্লির মুখ্য প্রতিনিধিত্ব করবেন।
এই আইনের ফলে দিল্লির নির্বাচিত সরকার এখন থেকে যে কোনো বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেবার আগে লেফট্যানান্ট গভর্নরের মতামত নিতে বাধ্য থাকবে। গত মাসেই সংসদে বিরোধীদের সম্মিলিত আপত্তি সত্ত্বেও বিতর্কিত এই সংযোজন পাশ হয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ২৭ এপ্রিল থেকে দ্য গভর্নমেন্ট অফ ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটরি অফ দিল্লি (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট, ২০২১ দিল্লির জন্য জারি হয়েছে।
এই বিশেষ আইন জারি করার ঘটনাকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল নির্বাচিত সরকারের ‘অপমান’ বলে জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন – এই আইনের ফলে দিল্লির নির্বাচিত সরকারের থেকে বেশি ক্ষমতা থাকবে যারা এই নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলো তাদের হাতে।
অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আরও অভিযোগ, বিজেপি লেফট্যানান্ট গভর্নরের মাধ্যমে পেছনের দরজা দিয়ে দিল্লি শাসন করতে চাইছে এবং নির্বাচিত সরকারের সব পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে চাইছে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ৭০ আসনের মধ্যে আম আদমি পার্টি পেয়েছিলো ৬২টি আসন। ওই নির্বাচনে বিজেপি জয়ী হয়েছিলো মাত্র ৮ আসনে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন