Constitution Day: মঞ্চে মোদী, সংবিধান দিবসে নেহেরুকে স্মরণ CJI ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের

জওহরলাল নেহরু ভারতের স্বাধীনতা দিবসে একটি ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন। যাকে 'Tryst with Destiny' বলেই সকলে জানেন। এটিই ছিল ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর সংসদে দেওয়া প্রথম ভাষণ।
প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়
প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ফাইল চিত্র

২৬ নভেম্বর, সংবিধান দিবসের (Constitution Day) অনুষ্ঠানে, জওহরলাল নেহরু (Jawaharlal Nehru)-র কথা তুলে ধরেছেন ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (CJI D Y Chandrachud)। বক্তব্য রাখতে গিয়ে নেহেরুর ঐতিহাসিক 'Tryst with Destiny' বক্তৃতার উল্লেখ করেছেন তিনি।

১৯৪৭ সালের ১৪ অগস্ট মধ্যরাতে ভারত স্বাধীনতা লাভ করেছিল। ওই দিন রাত ১২টার সময়েই জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছিলেন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহরু। মাঝরাতে দেশের স্বাধীনতা লাভকে মধ্যরাত্রে সূর্যোদয়ের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন তিনি।

সে সময় জওহরলাল নেহরু ভারতের স্বাধীনতা দিবসে একটি ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন। যাকে 'Tryst with Destiny' (ট্রিটস উইথ ডেসটিনি) বলেই সকলে জানেন। এটিই ছিল ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর সংসদে দেওয়া প্রথম ভাষণ।

যে ভাষণে নেহেরু বলেছিলেন- '...আমাদের প্রজন্মের শ্রেষ্ঠ মানুষের উচ্চাকাঙ্ক্ষা হল প্রতিটি মানুষের চোখের জল মুছে দেওয়া। সেটা হয়তো আমাদের (হাতের) বাইরে। কিন্তু, যতদিন কান্না আর কষ্ট থাকবে, ততদিন আমাদের (এই) কাজ শেষ হবে না। আর তাই, আমাদের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে আমাদের পরিশ্রম করতে হবে, পরিশ্রম করতে হবে এবং কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।...'

এদিন (শনিবার), নেহেরুর সেই ভাষণকে স্মরণে রেখে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন- 'কিছুক্ষেত্রে অতীতের অনেক কছুই আমাদের আঁকড়ে আছে। আমরা অনেক অঙ্গীকার নেয়েছি, আর তা উদ্ধার করার জন্য আমাদের অনেক কিছু করতে হবে।' মূলত, এই মন্তব্যটি নেহেরুর ভাষণকে উল্লেখ করে বলেছেন চন্দ্রচূড়।

আর, সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ অনুষ্ঠানে এই বক্তব্য রাখছেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়, তখন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Prime Minister Narendra Modi) ও কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু (Union Law Minister Kiren Rijiju)।

ছবি - সংগৃহীত

দেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠী মানুষের অবদান যে কম নয়, সেকথাও এদিন উল্লেখ করেন চন্দ্রচূড়। তিনি বলেন,'প্রান্তিক জনগোষ্ঠীই প্রথম সংবিধানের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিল।' একইসঙ্গে, আহ্বানের সুরে তিনি বলেন, 'অবশ্যই আইনী পেশায় প্রান্তিক সম্প্রদায় এবং মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে হবে।'

এছাড়া, উচ্চ আদালতগুলিকে 'ভার্চুয়াল আদালতের মডেলকে শক্তিশালী করার' আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। CJI বলেন, মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য আদালতকে পুনর্গঠন করতে হবে।'

তিনি বলেন, 'স্বাধীনতা, সাম্য এবং ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখতে সমর্থ হওয়ার জন্য বিচারকদের আত্মবিশ্লেষণ এবং সকল কুসংস্কার দূর করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিতে হবে।'

উল্লেখ্য, ১৯৪৯ সালে ২৬ নভেম্বর গণপরিষদে সংবিধান গৃহীত করা হয়। ২০১৫ সাল থেকে এই দিনটি সংবিধান দিবস হিসাবে পালিত আসছে। এর আগে এই দিনটি আইন দিবস হিসাবে পালিত হতো।

প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়
Demonetization: ২০১৬ সালের নোট বাতিল 'গভীর ত্রুটিপূর্ণ', সুপ্রিম কোর্টে দাবি চিদাম্বরমের

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in