

২৬ নভেম্বর সংবিধান দিবস উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী দকলেই দেশের সংবিধান প্রণেতাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গণতন্ত্র এবং সংবিধানের মূল্যবোধ রক্ষার আহ্বান জানালেন। ১৯৪৯ সালের এই দিনে ভারতের সংবিধান গৃহীত হয়।
একদিকে প্রধানমন্ত্রী ভারতের সংবিধানকে শক্তিশালী করার আহ্বান জনান অন্যদিকে রাহুল গান্ধী সংবিধানকে রক্ষার বার্তা দিলেন। সমাজমাধ্যমে নরেন্দ্র মোদী লেখেন, “আমাদের সংবিধান মানুষের মর্যাদা, সমতা ও স্বাধীনতাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। এটি যেমন আমাদের অধিকার দিয়েছে তেমনই নাগরিক হিসেবে আমাদের কর্তব্যও স্মরণ করিয়ে দেয়। এই কর্তব্যই শক্তিশালী গণতন্ত্রের ভিত্তি। আসুন আমরা আমাদের কর্মের মাধ্যমে সাংবিধানিক মূল্যবোধকে শক্তিশালী করার জন্য আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করি”।
রাহুল গান্ধী বলেন, “ভারতের সংবিধান কেবল একটি গ্রন্থ নয়, এটি দেশের প্রতিটি নাগরিকের কাছে দেওয়া একটি পবিত্র প্রতিশ্রুতি। একটি প্রতিশ্রুতি যেখানে, যে ধর্ম বা বর্ণেরই হোক না কেন, যে অঞ্চলেরই হোক না কেন, যে ভাষাতেই কথা বলুক না কেন, গরীব বা ধনী যাই হোক না কেন, সকলেরই সমতা, সম্মান এবং ন্যায়বিচার পাওয়ার কথা লেখা রয়েছে”।
তিনি আরও লেখেন, “সংবিধান হল দরিদ্র ও বঞ্চিতদের জন্য প্রতিরক্ষামূলক ঢাল, তাঁদের শক্তি এবং প্রতিটি নাগরিকের কণ্ঠস্বর। যতক্ষণ সংবিধান সুরক্ষিত থাকবে, ততক্ষণ প্রতিটি ভারতীয়ের অধিকার সুরক্ষিত থাকবে। আসুন আমরা শপথ নিই যে আমরা সংবিধানের উপর কোনও আক্রমণ হতে দেব না। এটি রক্ষা করা আমার কর্তব্য, এবং এর উপর যে কোনও আক্রমণের বিরুদ্ধে আমিই প্রথম দাঁড়াবো। আপনাদের সকলকে সংবিধান দিবসের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। জয় হিন্দ, জয় সংবিধান”।
সংবিধান দিবসে সকল সংবিধান প্রণেতাদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও। এক্স মাধ্যমে তিনি লেখেন, “আমি আজ আমাদের সংবিধানের দূরদর্শী প্রণেতাদের, বিশেষ করে এর প্রধান স্থপতি ডঃ বি. আর. আম্বেদকরের প্রতি আমার শ্রদ্ধা জানাই। আমি বিশেষ করে বাংলার গণপরিষদের সদস্যদের প্রতিও আমার শ্রদ্ধা জানাই, যাঁরা সংবিধান গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের সংবিধান আমাদের জাতির মেরুদণ্ড যা আমাদের সংস্কৃতি, ভাষা এবং সম্প্রদায়ের বিশাল বৈচিত্র্যকে দক্ষতার সাথে একত্রিত করে একটি সমন্বিত, যুক্তরাষ্ট্রীয় সমগ্রে পরিণত করে”।
তিনি আরও লেখেন, “এখন, যখন গণতন্ত্র ঝুঁকির মুখে, যখন ধর্মনিরপেক্ষতা বিপন্ন পরিস্থিতিতে, যখন যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোকে ধ্বংস করা হচ্ছে, এই সংকটময় সময়ে, আমাদের সংবিধান যে মূল্যবান নির্দেশ প্রদান করে তা রক্ষা করতে হবে”।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন