

বছরখানেক আগেই কমলনাথ গান্ধী পরিবার ও জি২৩ গোষ্ঠীর মধ্যে বৈঠকের ব্যবস্থা করেছিলেন। ওই একই কাজের জন্য আবার তাঁর ডাক পড়েছে। বিশেষ সূত্র অনুযায়ী কমলনাথ বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল, গুলাম নবি আজাদ এবং ভূপিন্দার সিংয়ের সঙ্গে দেখা করে দলের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। গোষ্ঠীর ক্ষোভের বিষয়গুলিও জেনেছেন তিনি।
সূত্র আরও জানিয়েছে, কংগ্রেস কর্মীদের কপিল সিব্বলের বাড়ির সামনে বিক্ষোভপ্রদর্শন ও স্লোগান দেওয়ার খবর পেয়ে মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীই সেখানে সবার আগে পৌঁছন।
জি২৩ চায় সাংগঠনিক নির্বাচন এবং গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগের আগে আলোচনা ও প্রধান বিষয়গুলি নিয়ে বিস্তারিত শলা পরামর্শ। এবারে অবশ্য রাজ্যসভার মনোনয়ন নিয়ে তাদের ক্ষোভ। কারণ যা জানা যাচ্ছে তা হল কংগ্রেস ডিএমকের কাছ থেকে একটি আসন চাইবে এবং আজাদকে পাঠানো হবে রাজ্যসভায়।
জি২৩ কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের ব্যবস্থা নেওয়ার ধরনে বিরক্ত। অভিযোগ দিল্লীর দুই নেতা যারা প্রাক্তন সাংসদ তারাই সিব্বলের বাড়িতে বিক্ষোভের পিছনে। গোষ্ঠীর দাবি আলোচনা এগোতে গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
কমলনাথ দলের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে আলোচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানিয়েছেন যদিও মনে করা হচ্ছে বৈঠক ছিল রাজ্যকেন্দ্রিক।
বৈঠক নিয়ে কোন পক্ষই কিছু জানাননি। তবে দলীয় সূত্রে জানা গেছে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। তবে এক নেতা বলেছেন, তাঁরা এবার কোন ফাঁকা কথা চান না, চান ঠিকঠাক পদক্ষেপ।
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের অভিযোগ প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে কমলনাথ বলেন, দলে তাঁর অন্য কিছু কাজ আছে।
প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ভডরাকে আটক করা প্রসঙ্গে রাজ্যসভায় কংগ্রেসের উপনেতা আনন্দ শর্মা এবং কপিল সিব্বল বলেন, তাঁরা উত্তরপ্রদেশ পুলিশ কংগ্রেসের জেনারাল সেক্রেটারি ও ভূপিন্দার হুডার সঙ্গে যে ব্যবহার করেছে তার এবং আটক করার কঠোর নিন্দা করছেন। এইরকম দমনমূলক কাজ দিয়ে কৃষকদের কন্ঠরোধ এবং ন্যায়বিচারের ডাককে বন্ধ করা যাবে না। ন্যায়ের জয় হবেই।
দল কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডেকে সব বিষয়ে আলোচনার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় পরিস্থিতির আরও অগ্রগতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জি২৩ নেতারা বলেছেন গান্ধী পরিবারের প্রতি তাঁদের কোন ক্ষোভ নেই। রাহুল গান্ধীকে ঘিরে থাকা চক্র এবং অন্য কয়েকজন তার ঘনিষ্ঠ নেতাই কোন দায়িত্ব ছাড়াই সব কিছু ঠিক করছেন, আর নির্বাচনে হারের পর হার হচ্ছে।
- with Agency Inputs
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন