শরদ না অজিত, কার জোর বেশি? ক্ষমতা জাহির নিয়ে মহারাষ্ট্রে জমজমাট কাকা-ভাইপো সংঘাত

অজিত পাওয়ার না শরদ পাওয়ার, কার গোষ্ঠী আসল এনসিপি? এই প্রশ্ন নিয়ে এখনও উত্তাল মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহল।
শরদ পাওয়ার এবং অজিত পাওয়ার
শরদ পাওয়ার এবং অজিত পাওয়ার

মহারাষ্ট্রে ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির ভাঙন নিয়ে নাটক এখনও অব্যাহত। অজিত পাওয়ার না শরদ পাওয়ার, কার গোষ্ঠী আসল এনসিপি? এই প্রশ্ন নিয়ে এখনও উত্তাল মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহল। বুধবার এনসিপি-এর দুই গোষ্ঠীই নিজেদের ক্ষমতা জাহির করতে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছিল। একদিকে অজিত পাওয়ারের ডাকা বৈঠকে মোট ৫৩ জন এনসিপি বিধায়কের মধ্যে ৩৫ জনই উপস্থিত ছিলেন বলে সূত্রে খবর। অন্যদিকে, শরদ পাওয়ারের ডাকা বৈঠকে ১৩ জন বিধায়কের উপস্থিতির সঙ্গে যোগ হয়েছে বিপুল সংখ্যক দলীয় কর্মী-সমর্থকদের ভীড়। তাই এখনও পর্যন্ত দুই গোষ্ঠীই দাবি করছে, তাদের গোষ্ঠীই আসল ‘ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি’।

একদিকে রয়েছেন দলের প্রতিষ্ঠাতা তথা এই মুহূর্তে দেশীয় রাজনীতির অন্যতম বর্ষীয়ান নাম শরদ পাওয়ার। অন্যদিকে রয়েছেন তাঁরই ভাইপো অজিত পাওয়ার, যিনি গত রবিবারই নিজের ছাউনি ছেড়ে মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বিজেপি-একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা সরকারকে নিজের সমর্থন জানিয়েছেন। এমনকি মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদেও শপথ নিয়েছেন অজিত। বুধবার দুই গোষ্ঠীর তরফেই নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শন করতে বৈঠক ডাকা হয়। অজিত পাওয়ার এদিন বৈঠক ডাকেন বান্দ্রার ভুজবাল নলেজসিটিতে এবং তাঁর কাকা শরদ পাওয়ার যশবন্ত রাও চবন সেন্টারে দলের বৈঠক ডাকেন। সূত্রের খবর, অজিতের ডাকা বৈঠকে ৫৩ জন এনসিপি বিধায়কের মধ্যে ৩৫ জন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও দলের বিধান পরিষদের ৫ জন সদস্যও অজিতকে তাদের সমর্থন জানিয়ে ওই বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। বিধায়কের সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলেই অজিত গোষ্ঠী সূত্রে খবর।

অন্যদিকে, এদিন শরদ পাওয়ারের বাড়ির সামনে সকাল থেকেই ভীড় জমান দলের অসংখ্য কর্মী-সমর্থক। শরদের ডাকা বৈঠকে বুধবার মাত্র ১৩জন বিধায়ক উপস্থিত হলেও মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা অনিল দেশমুখ সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন, শরদ পাওয়ারের দিকে প্রচুর বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। এদিকে মহারাষ্ট্র বিধানসভার প্রাক্তন প্রধান সচিব অনন্ত কালসে জানিয়েছেন, অনাস্থা এড়াতে হলে অজিত পাওয়ার গোষ্ঠীকে নূন্যতম ৩৬ জন বিধায়কের সমর্থন পেতে হবে।

আপাতত দুই গোষ্ঠীই দাবি করছে যে তাদের পক্ষে বেশি বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। অর্থাৎ দুই পক্ষই নিজেদের পূর্ণ ক্ষমতা প্রদর্শন করতে চাইছে। কিন্তু রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মুহূর্তে শরদ পাওয়ারের কাছে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করাটা একটু বেশিই কঠিন হবে।

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in