কলকাতায় বিদ্যুৎ বণ্টনে বেসরকারি সংস্থার একচেটিয়া ব্যবসাকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খোদ বাঁচাতে চাইছেন। কিন্তু কেন? প্রশ্ন তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠালেন কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী রাজকুমার সিংহ।
রাজ্য প্রশাসনের একটি সূত্রের সাফাই, সংস্থাটি কলকাতা ও হাওড়া শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। এই দুই জায়গার গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৪০ লক্ষ। অন্যদিকে, সরকার নিয়ন্ত্রিত সংস্থা রাজ্যে দু’কোটির বেশি গ্রাহককে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। সুতরাং, রাজ্য কোনও বেসরকারি সংস্থার ব্যবসাকে মদত দিচ্ছে না। তবে ওই বেসরকারি সংস্থার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
চিঠিতে রাজকুমার জানান, ওই বেসরকারি সংস্থা দেশে চড়া হারে মাসুল আদায়কারী সংস্থাগুলির মধ্যে অন্যতম। কেন্দ্র চায়, আইন সংশোধন করে বিদ্যুৎ বণ্টনে প্রতিযোগিতা শুরু হোক। ফলে নির্দিষ্ট এলাকায় একটি সংস্থাই বিদ্যুৎ বণ্টনের লাইসেন্স পাবে, তা না-ও হতে পারে। যে সংস্থা কম মাসুলে ভালো পরিষেবা দেবে, মানুষ তাদের কাছ থেকেই বিদ্যুৎ নিতে পারবেন। মন্ত্রীর প্রশ্ন, ‘আপনি কেন এই বেসরকারি সংস্থাকে প্রতিযোগিতা থেকে বাঁচাতে চাইছেন, তা স্পষ্ট নয়।’
গত বছর থেকেই মোদি সরকার বিদ্যুৎ আইনে সংশোধনে উদ্যোগী। তাতে বাধা দিয়ে রাজ্য অভিযোগ তুলেছিল, শিল্পপতিদের স্বার্থে নতুন আইন আনা হচ্ছে। অন্যান্য রাজ্যও আপত্তি তোলে। কেন্দ্রের আইনের ধাক্কায় বিদ্যুতের মাসুল বাড়তে পারে বলে মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন।
একটি সূত্রের ব্যাখ্যা, কেন্দ্রের নতুন নীতি অনুযায়ী, বিদ্যুৎ বণ্টনের পরিকাঠামো তৈরির দায় সংশ্লিষ্ট সংস্থার না নিলেও চলবে। বদলে চলতি দরে বণ্টন সংস্থার কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনে নিজেদের মুনাফা রেখে গ্রাহকের কাছে বিক্রি করবে। ফলে, নতুন পরিকাঠামোর বদলে মাসুল বাড়তে পারে বিদ্যুতের। বিদ্যুৎমন্ত্রীর অবশ্য যুক্তি, রাজ্য বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশন মাসুলের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দিলে মাসুল বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকবে না।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।