স্কুলের উন্নতির জন্য দ্বিতীয় শ্রেণীর পড়ুয়াকে 'বলি'! হাথরসে গ্রেফতার তিন শিক্ষক-সহ পাঁচ

People's Reporter: বেসরকারি স্কুলের উন্নতি এবং সাফল্যের আশায় দ্বিতীয় শ্রেণীর এক পড়ুয়াকে ‘বলি’ দেওয়ার অভিযোগ উঠল। ঘটনায় স্কুলের ডিরেক্টর, তাঁর বাবা এবং তিন শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে।
কুসংস্কারের জেরে হাথরাসে 'বলি' দ্বিতীয় শ্রেণীর পড়ুয়া
কুসংস্কারের জেরে হাথরাসে 'বলি' দ্বিতীয় শ্রেণীর পড়ুয়াছবি - সংগৃহীত
Published on

ফের ভয়ঙ্কর ঘটনার সাক্ষী উত্তরপ্রদেশ। স্কুলের উন্নতি এবং সাফল্যের আশায় দ্বিতীয় শ্রেণীর এক পড়ুয়াকে ‘বলি’ দেওয়ার অভিযোগ উঠল। পুলিশ সূত্রে খবর, কুসংস্কারের বশবর্তী হয়ে এমনই রোমার্ষক ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে। পুলিশ এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বেসরকারি স্কুলের ডিরেক্টর, তাঁর বাবা এবং তিন শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে।

২২ সেপ্টেম্বর ঘটনাটি ঘটেছে হাথরাসের রাসগাও এলাকায় ডি এল পাবলিক স্কুলে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বেশ কয়েকদিন ধরেই লোকসানে চলছিল স্কুল। সেই কারণে স্কুলের ডিরেক্টর, তাঁর বাবা এবং তিন শিক্ষক স্কুলের উন্নতিকল্পে এই 'নরবলি'র পরিকল্পনা করেন। জানা গেছে, স্কুলের ডিরেক্টরের বাবা তন্ত্রসাধনার চর্চা করেন।

পুলিশ সূত্রে আরও খবর, স্কুলের বাইরে একটি টিউবওয়েলের কাছে পড়ুয়াটিকে বলি দিতে চেয়েছিলেন অভিযুক্তরা। কিন্তু শিশুটিকে হস্টেল থেকে বের করে নিয়ে যাওয়ার সময় সে চিৎকার শুরু করে। বাধ্য হয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন তিন শিক্ষক।

মৃত শিশুর বাবা জানিয়েছেন, তাঁকে হোস্টেল থেকে ফোন করে বলা হয়, তাঁদের সন্তান গুরুতর অসুস্থ। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। স্কুলে গিয়ে তাঁর বাবা জানতে পারেন শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শেষে হাসপাতালে গিয়ে দেখেন অভিযুক্তদের গাড়িতে তাঁদের সন্তানের দেহ পড়ে আছে। তদন্তে নেমে পুলিশ স্কুল চত্বর থেকে কালোজাদু এবং বলির সামগ্রী পায়।

হাথরসের পুলিশ সুপার নিপুণ আগরওয়াল জানিয়েছেন, স্কুলের ‘ভাগ্য’ ফেরাতে দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়াকে খুন করা হয়েছে। স্কুলমালিক, তাঁর বাবা এবং তিন শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর একই উদ্দেশ্যে হস্টেল থেকে এক শিশুকে তুলে এনে বলি দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন অভিযুক্তরা। কিন্তু সেবার শিশুটি সতর্ক হয়ে হস্টেল রুমের অ্যালার্ম বাজিয়ে দেয়। পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়। 

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in