CITU: স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স-এর ধর্মঘটী শ্রমিকদের সমর্থনে তামিলনাড়ু জুড়ে বিক্ষোভে সিআইটিইউ
শ্রীপেরামবুদুরে স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স কারখানায় গত চার সপ্তাহ ধরে চলা ধর্মঘটের সমর্থনে রাস্তায় নামলো সিআইটিইউ। মঙ্গলবার তামিলনাড়ু জুড়ে রাস্তায় নেমে ধর্মঘটীদের সমর্থনে বিক্ষোভ দেখায় সিটু। তামিলনাড়ু পুলিশ জানিয়েছে, এদিন প্রায় ৬০০ শ্রমিককে আটক করা হয়েছে। গত চার সপ্তাহ ধরে মজুরি বৃদ্ধি সহ একাধিক দাবিতে ধর্মঘট করছেন স্যামসাং ইলেক্ট্রনিক্স কারখানার কর্মীরা। সাম্প্রতিক সময়ে এই ধরণের একটানা ধর্মঘট তামিলনাড়ুতে বা দেশে চোখে পড়েনি।
তামিলনাড়ু পুলিশের পক্ষ থেকে এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন এদিন চেন্নাইয়ের কাছে প্রায় ৬০০ জন সিটু সদস্যকে আটক করা হয়েছে। তারা স্যামসুং ইলেক্ট্রনিক্স কারখানার ধর্মঘটী শ্রমিকদের সমর্থনে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। এর আগে ১৬ সেপ্টেম্বর ১০৪ জন ধর্মঘটী শ্রমিককে আটক করেছিল তামিলনাড়ু পুলিশ।
গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে চেন্নাইয়ের এই কারখানায় ধর্মঘট চালাচ্ছেন শ্রমিকরা। কারখানায় ইউনিয়নের স্বীকৃতি, মজুরির হারে বৃদ্ধি সহ একাধিক দাবিতে তারা লাগাতার ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছেন। এর আগে সংস্থার পক্ষ থেকে উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকরা শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসলেও কোনও সমাধান সূত্র বেরোয়নি।
জানা গেছে, স্যামসাং-এর এই কারখানার শ্রমিকরা গড়ে ২৫ টাকা মজুরি পান। যদিও তাদের দাবি আগামী তিন বছরের মধ্যে ধাপে ধাপে তাদের মজুরি ৩৬ হাজার টাকা করতে হবে। যদিও কর্মীদের এই দাবি সম্পর্কে মুখ খোলেনি সংস্থার আধিকারিকরা।
শ্রমিকদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে টালবাহানা করছে কর্তৃপক্ষ। শ্রমিকদের দাবি নিয়ে লড়াই করবার জন্য সিআইটিইউ-র নেতৃত্বে তৈরি করা হয়েছে স্যামসং ইন্ডিয়া ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন। যদিও এখনও পর্যন্ত কোম্পানির পক্ষ থেকে ইউনিয়নকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। উল্টে মালিকপক্ষ পাল্টা আরেকটি ইউনিয়ন গঠনের চেষ্টা করছে। শ্রমিক ইউনিয়নের অভিযোগ, নতুন সংগঠনে যোগ দিলে সকলকে একটি করে টিভি, ফ্রিজ এবং নগদ অর্থ দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। যদিও শ্রমিকরা এই আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন।
মজুরি বৃদ্ধি, কাজের পরিবেশের উন্নতি সহ ৮ দফা দাবিতে এই ধর্মঘট চলছে। তবে দক্ষিণ ভারতের কারখানায় ধর্মঘট চললেও উত্তরপ্রদেশের লখনৌতে স্যামসং-এর দ্বিতীয় কারখানায় পরিবেশ স্বাভাবিক আছে। শ্রীপেরামবুদুরের কারখানার ১৭০০ শ্রমিকের মধ্যে দেড় হাজারের বেশি শ্রমিক এই ধর্মঘটে অংশ নিয়েছেন।
SUPPORT PEOPLE'S REPORTER
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

