২০২৩ সালে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। ফাইনালের আগে সেমিফাইনালে বিজেপিকে পর্যুদস্ত করল কংগ্রেস। ছত্তিগড়ের ১৫টি পুর নির্বাচনে ৩৭০টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩০০টি আসনের ফলাফল বেরিয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ১৭৪টি ওয়ার্ডে জয় পেয়েছে কংগ্রেস। এবার পুর নির্বাচনে ফার্স্ট বয় কংগ্রেসই। দ্বিতীয় স্থানে আছে বিজেপি। পেয়েছে ৮৯টি আসন।
জনতা কংগ্রেস ছত্রিশগড়ের দখলে মাত্র ছয়টি আসন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নির্দল প্রার্থীরা পেয়েছেন ৩১টি আসন। বাকি ৭০টি ওয়ার্ড ভিলাই পুরসভার অন্তর্গত। এটি দুর্গ জেলার মধ্যে পড়ে। সেখানকার ফলাফল জানা না গেলেও কংগ্রেস বেশিরভাগ আসনে এগিয়ে রয়েছে বলে খবর সূত্রের।
কংগ্রেস কর্মীদের কঠোর পরিশ্রমেই এই ফল হয়েছে বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। তাই তাঁরাই এই জয়ের কৃতিত্বের আসল ভাগীদার। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের স্কিম ও পলিসির জেরে মানুষ আমাদের আশীর্বাদ করেছেন। অবশ্য হেরেও বিজেপির দাবি, মানুষ সরকারের পাশ থেকে সরে যাচ্ছে।
রাজ্য কংগ্রেস নেতা মোহন মর্কাম বলেন, আমাদের প্রত্যাশা এমনটাই ছিল। সেই মতোই ফলাফল হয়েছে। মানুষ কংগ্রেসের শাসনে আস্থা রেখেছেন। অন্যদিকে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি বিষ্ণুদেও রাই বলেন, কংগ্রেসের শেষের শুরু হয়ে গেল। সরকারের প্রতি মানুষের আস্থা যে কমেছে, সেটাই পরিষ্কার হচ্ছে এই ফলাফলে।
প্রসঙ্গত, এই জয়ে কংগ্রেস কিছুটা পায়ের তলায় মাটি পেল। কেন্দ্রের বিজেপি বিরোধী জোটে কংগ্রেস প্রধান দল বটে। কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নিরঙ্কুশ ভাবে জিতে ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূল নিজেকে জোটের প্রধান দল বলে দাবি করতে শুরু করেছে। বঙ্গের বাইরে বিভিন্ন রাজ্যে দাপট বিস্তারের পাশাপাশি কংগ্রেসের অস্তিত্ব অস্বীকার করতে শুরু করে।
তৃণমূল সুপ্রিমো সরাসরি দাবি করেন, ইউপিএ কই? ইউপিএ নেই। এই তত্ত্বে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনে হয়েছিল, জোটের অন্য দলগুলি তাঁকে সমর্থন জানাবে। কিন্তু বাস্তবে বিষয়টি সম্পূর্ণ বদলে যায়। তাঁকে সমর্থন করা তো দূরের কথা, শিবসেনা- এনসিপির মতো গুরুত্বপূর্ণ দলগুলি স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, বিজেপি বিরোধী জোট কংগ্রেস ছাড়া অসম্পূর্ণ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন