সুদের হার নিয়ে কেন্দ্রের পিছু হটা - বিরোধীদের বাক্যবাণে বিদ্ধ সীতারামন

চাপের মুখে আজ সকালে অর্থমন্ত্রী জানান, "ভারত সরকারের স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পগুলিতে ২০২০-২১ সালের শেষ ত্রৈমাসিকে সুদের হার যা ছিল, ‌সেই হারই অব‍্যাহত থাকবে। ভুলবশত জারি করা বিজ্ঞপ্তি তুলে নেওয়া হবে।"
প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ও নির্মলা সীতারামন
প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ও নির্মলা সীতারামনফাইল ছবি
Published on

রাতারাতি স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পে সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত প্রত‍্যাহার করে নেওয়ায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে তীব্র ব‍্যাঙ্গ করলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। অর্থমন্ত্রীর দাবি, 'ভুশবশত জারি করা হয়েছিল বিজ্ঞপ্তি, তুলে নেওয়া হবে।' এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেত্রীর কটাক্ষ, ভুলবশত নাকি নির্বাচন চলছে মনে পড়ায় বোধহয় হয়েছে অর্থমন্ত্রীর?

গতকাল রাতে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে অর্থমন্ত্রকের তরফ থেকে বলা হয় ন‍্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট বা এনএসসি-তে সুদ ৬.৮ শতাংশ থেকে কমে ৫.৯ শতাংশ হারে কার্যকর হবে। বিভিন্ন ফিক্সড ডিপোজিটের ক্ষেত্রে সুদের হার ০.৪০ থেকে ১.১ শতাংশ কমানো হয়েছে। পিপিএফ-এ সুদের হার ৭.১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬.৪ শতাংশ করা হয়েছে। সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনাতেও সুদের হার ৭.৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬.৯ শতাংশ কথা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ১ এপ্রিল অর্থাৎ আজ থেকে এই নিয়ম কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। এই বিজ্ঞপ্তি জারির পরই সমালোচনার ঝড় ওঠে সর্বত্র। চাপের মুখে আজ সকালে অর্থমন্ত্রী নিজের ট‍্যুইটারে জানান, "ভারত সরকারের স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পগুলিতে ২০২০-২১ সালের শেষ ত্রৈমাসিকে সুদের হার যা ছিল, ‌সেই হারই অব‍্যাহত থাকবে। অর্থাৎ গত মার্চ পর্যন্ত যে সুদের হার ছিল তাই বহাল থাকবে। ভুলবশত জারি করা বিজ্ঞপ্তি তুলে নেওয়া হবে।"

বলা বাহুল্য, এক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ সহ পাঁচ রাজ‍্যের বিধানসভা নির্বাচনের দিকেই ইঙ্গিত করছেন রাজীব-তনয়া। আজ আসামের ৩৯টি আসনে এবং পশ্চিমবঙ্গের ৩০টি আসনে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ চলছে।

প্রিয়ঙ্কার পাশাপাশি কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সূরযওয়ালা, সিপিআইএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, বিজেপি ছেড়ে সদ‍্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া যশবন্ত সিনহা সহ অনেকেই বিষয়টি নিয়ে ট‍্যুইটারে সরব হয়েছেন।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in