এখনই চালু হচ্ছে না ফ্যাক্ট-চেকিং ইউনিট, বোম্বে হাই কোর্টে জানাল কেন্দ্র

কুণাল কামরা দাবি করেন, আইটি আইনের সংশোধনের মধ্যে দিয়ে রাষ্ট্র, সমাজের ভুল কাজের সমালোচনার অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এই একতরফা নিয়ন্ত্রণ চালু হলে তাঁর মতো পেশার সঙ্গে যুক্ত মানুষেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
এখনই চালু হচ্ছে না ফ্যাক্ট-চেকিং ইউনিট, বোম্বে হাই কোর্টে জানাল কেন্দ্র
গ্রাফিক্স - সুমিত্রা নন্দন
Published on

সম্প্রতি কেন্দ্রের ‘সংশোধনীত তথ্য প্রযুক্তি বিধি ২০২৩’-কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বোম্বে হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন কৌতুক অভিনেতা কুণাল কামরা। বৃহস্পতিবার, সেই মামলার শুনানিতে কেন্দ্র জানিয়েছে, ৫ জুলাইয়ের আগে ভুয়ো খবর চিহ্নিতকরণের জন্য ফ্যাক্ট-চেকিং ইউনিট গড়া নিয়ে কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে না।

নয়া তথ্য প্রযুক্তি বিধি স্থগিতের জন্য যে আবেদন করেছিলেন কৌতুক অভিনেতা কুণাল কামরা, কেন্দ্রের এদিনের বক্তব্য শোনার পর, মামলার শুনানি আর বাড়াতে চায়নি আদালত।

গত ১১ এপ্রিল, বোম্বে হাই কোর্টের বিচারপতি গৌতম প্যাটেল এবং বিচারপতি নীলা গোখলের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা করেছিলেন কুণাল কামরার আইনজীবী নভরোজ সেরভাই।

আদালতে কুণাল কামরা দাবি করেন, 'তথ্য প্রযুক্তি আইনের সংশোধনের মধ্যে দিয়ে রাষ্ট্র, সমাজ এবং ব্যক্তি বিশেষের ভুল কাজের সমালোচনার অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এমনকী তা সুপ্রিম কোর্টের একাধিক অতীতের রায়কেই লঙ্ঘন করছে। এই সংশোধনীটি হল ‘সংবিধান বিরোধী এবং নাগরিকদের বাক স্বাধীনতার পরিপন্থী’। এই আইন প্রয়োগ করে কীভাবে একজন শিল্পীকে তাঁর শিল্পকর্ম থেকে বিরত রাখা যায়? সোশাল মিডিয়ায় এই একতরফা নিয়ন্ত্রণ চালু হলে তাঁর মতো পেশার সঙ্গে যুক্ত মানুষেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।'

তবে এদিন কেন্দ্রের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছে, ফ্যাক্ট-চেকিং ইউনিটটি গড়া বা বিজ্ঞপ্তি না দেওয়া পর্যন্ত নয়া বিধি কার্যকর হবে না। ফলে, এখনই এনিয়ে আলোচনার কোনও প্রয়োজন নেই।

একইসঙ্গে, বিচারপতি প্যাটেল বলেন, কুণাল কামরা যদি দাবি করেন তিনি কিছু মন্তব্য বা কৌতুক করতে চলেছেন, যা নিয়ে পরবর্তীকালে পদক্ষেপ নেয়া হতে পারে, তাহলে তাঁর উচিত এখন ‘ছুটির সময়’ কাটানো।

শুনানির জন্য জোরাজুরি করলে, কুণালের আইনজীবীকে কটাক্ষ করে বিচারপতি প্যাটেল বলেন, ‘গ্রীষ্মের ছুটি নিন। তবে, কেউ ঠাণ্ডা চাইবে কিনা, সেটা তাঁর উপর নির্ভর করছে।’

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in