

গত ৬ বছরে মোদি সরকারের সমালোচনায় 'শ্যুট বুট কি সরকার' এবং 'চৌকিদার চোর হ্যায়' উপমার সঙ্গে এবার আরও একটি উপমা জুড়ে দিয়েছে বিরোধী কংগ্রেস। আর তা হল, ' মোদি মহল'। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ইতিমধ্যেই বিধ্বস্ত অবস্থা ভারতের। কিন্তু মোদির স্বপ্নের প্রকল্প সেন্ট্রাল ভিস্তার নির্মাণ কাজ থেমে নেই। যে পরিমাণ অর্থ খরচ করে এই সেন্ট্রাল ভিস্তা তৈরি হচ্ছে, সেই অর্থ যদি ভ্যাকসিন ও জরুরি ওষুধের পিছনে খরচ করা যেত, তাহলে মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ দেশে এত তোলপাড় করতে পারতো না বলে আক্রমণ শানিয়েছে কংগেস।
একদিকে যখন দেশ মৃত্যুপুরীতে রূপান্তরিত হতে শুরু করেছে, তখন 'মোদি মহল' নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াও তোলপাড় হয়ে উঠেছে। কেন্দ্রে ও অধিকাংশ রাজ্যই এখন বিজেপি শাসিত। আর শাসকের এই প্রতিষ্ঠান বিরোধী মনোভাবকেই কংগ্রেস এবার কাজে লাগিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে ক্রমাগত আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। কংগ্রেসের তোপ, আরও অনেক 'মোদি মহল' তৈরির জন্য অপেক্ষা করা যাবে। কিন্তু, দেশ ও দেশবাসী সবার আগে।
কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ প্রথম এমন টুইট করেন। এরপরই কংগ্রেসের তরফে এরকম একাধিক সরকার বিরোধী টুইট আসতে শুরু করেছে।শুক্রবার দিল্লি পুলিশের তরফে যুব কংগ্রেস প্রধান বিভি শ্রীনিবাসের কাছে জানতে চায়, ত্রাণে বিলি করার সামগ্রী কোথা থেকে আসছে। তখন দলীয় নেতা ও কর্মীরা 'মোদি মহল'-এর প্রসঙ্গ টেনে আনেন।
যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় প্রচার সচিব শ্রীবৎস টুইট করে বলেন, ' যুব কংগ্রেস মোদি ও শাহ-র হুমকিতে ভয় পায় না। তাঁরা ব্যস্ত থাকুক তাঙদের মোদি মহল তৈরির কাজে। আমরা মানুষের সাহায্যে করে যাচ্ছি।' এর আগে তিনি বলেছিলেন, ' মোদি মানুষের করের টাকা খরচ করে ভিস্তা, মোদি মহল তৈরি করছে, বিজেপি বিধায়কদের জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দিচ্ছে। তাহলে কেন মোদি সরকার গরিবদের মেডিক্যাল বিল মেটাবে না?'
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন