
গোটা দেশজুড়ে বিভিন্ন রাজ্যে চলছে অক্সিজেনের হাহাকার। অক্সিজেনের ঘাটতি মেটাতে হবে কেন্দ্রকেই। কোনওরকম ভাবে দায় এড়িয়ে যাওয়া চলবে না। এই মর্মে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশিকা জারি করল। দিল্লি ও কর্নাটকে অক্সিজেনের ঘাটতি নিয়ে এই নির্দেশিকা দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও এম আর শাহকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ।
পাশাপাশি অক্সিজেন নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে দিল্লি টানাপোড়েনের জবাবে শীর্ষ আদালত দিল্লিতে প্রতিদিন ৭০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন সরকারের দায়িত্ব কেন্দ্রকে নিতে হবে বলে জানিয়েছে। আর কর্নাটকে ৯৬৫ মেট্রিকটন থেকে বাড়িয়ে বারোশো মেট্রিক টন অক্সিজেন সরবরাহ করার নির্দেশ দিয়েছে। অক্সিজেন সরবরাহ নিয়ে এই নির্দেশের অমান্য হলে কড়া পদক্ষেপ করবে শীর্ষ আদালত। কর্ণাটক হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে মোদি সরকার আবেদন জানায় সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু সর্বোচ্চ আদালত জানিয়ে দেয় যে, হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের উপর কোনওরকম হস্তক্ষেপ করবে না। কর্ণাটক হাইকোর্টের রায়ে সুচিন্তিতভাবে বিচার বিভাগীয় ক্ষমতার প্রয়োগ করা হয়েছে বলে তারা মনে করছে।
কেন্দ্রের কৌঁঁসুলী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, এই রায় বেশি অক্সিজেন সরবরাহে সমস্যা তৈরি করবে। উল্লেখ্য, কর্ণাটকে প্রতিদিনই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে অক্সিজেনের চাহিদা। অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্টের ব্রেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, যে পরিমাণ অক্সিজেনের দাবি জানানো হয়েছে, তাকে কোনওমতেই কমানো যাবে না। মোদি সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, এই ইস্যুতে সরকার যেন এমন কোন কাজ না করে, যাতে সুপ্রিম কোর্ট কড়া পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয়।
এদিকে, মেডিকেল অক্সিজেন নিয়ে কোনওরকম কালোবাজারি হলে আরও কঠোর পদক্ষেপ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে কেরলের এলডিএফ সরকার। এই কালোবাজারের সঙ্গে যুক্তদের বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যদিকে, কোভিড রোগীদের চিকিৎসায় হাসপাতালের বেড পাওয়া নিয়ে সরব হয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। তারা জানিয়েছে, কোনও কোভিড রোগীকে ওয়েটিংলিস্টে রাখা যাবে না। সবাইকেই জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন