অক্সিজেন ও ICU বেডের তীব্র অভাবে বহু মানুষের মৃত্যুর দায় কেন্দ্রকেই নিতে হবে - রাহুল গান্ধী

অধিকাংশ রাজ‍্যেই অক্সিজেন, আইসিইউ বেড এবং ওষুধের তীব্র অভাব দেখা দিয়েছে, যার জেরে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। দেশের এই ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্র সরকারকে দায়ী করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
রাহুল গান্ধী
রাহুল গান্ধী ফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। অধিকাংশ রাজ‍্যেই অক্সিজেন, আইসিইউ বেড এবং ওষুধের তীব্র অভাব দেখা দিয়েছে, যার জেরে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। দেশের এই ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্র সরকারকে দায়ী করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।

নিজের ট‍্যুইটারে রাহুল গান্ধী লেখেন, "করোনার জন্য শরীরে অক্সিজেন লেভেল কমে যায়। এখন দেশে অক্সিজেন ও আইসিইউ বেডের তীব্র অভাব দেখা গেছে, যার বহু মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর দায় কেন্দ্রীয় সরকারকে নিতেই হবে।"

অক্সিজেনের সবথেকে বেশি অভাব দেখা গেছে দিল্লিতে। শেষ ২৪ ঘন্টায় অক্সিজেনের অভাবে দিল্লির গঙ্গারাম হাসপাতালে ২৫ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে দাবি করা হচ্ছে। আজ সকালে হাসপাতালের তরফ থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে হাসপাতালে আর মাত্র ২ ঘন্টার মতো অক্সিজেন রয়েছে। দ্রুত অক্সিজেনের ব‍্যবস্থা না করলে আরো ৬০ জন রোগীর প্রাণহানির সম্ভাবনা রয়েছে। অক্সিজেনের প্রয়োজনে ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে দিল্লির বেশ কয়েকটি হাসপাতালে, যার শুনানিতে কেন্দ্রকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছে আদালত।

আজ সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘন্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৩২ হাজার ৭৩০ জন। করোনাকালে দেশে এটাই সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণ। এই নিয়ে টানা তিনদিন দেশে দৈনিক সংক্রমণ তিন লাখের উপরে রয়েছে। ২৪ ঘন্টায় দেশে রেকর্ড সংখ্যক মৃত্যুও হয়েছে, ২ হাজার ২৬৩ জনের। এই নিয়ে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৬২ লক্ষ ৬৩ হাজার ৬৯৫ জন এবং মোট মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৮৬ হাজার ৯২০ জনের।

দেশের এই ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে এর আগেও একাধিকবার কেন্দ্র সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন সদ‍্য করোনা আক্রান্ত রাহুল গান্ধী। সম্প্রতি সরকারের ভ‍্যাকসিন‌ বন্টনের পদ্ধতিকে নোটবন্দির সাথে তুলনা করেছেন তিনি।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in