নয়াদিল্লি, ২ মার্চ: দশকের পর দশক ধরে রাষ্ট্র গণমাধ্যমের উপর নির্দিষ্ট বাধা আরোপ করে আসছে। একইভাবে, বাকস্বাধীনতার কথাও সমানতালে দাবি করে এসেছে প্রশাসন। কিন্তু, সংবিধানে ঠিক কতটা সীমা রয়েছে গণমাধ্যমের উপর এভাবে ক্রমাগত হস্তক্ষেপ করার, সেটাই এখন আলোচ্য বিষয়। কেন্দ্র গণমাধ্যমের প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর নতুন কিছু আইন চাপিয়ে দিয়ে সেটিকেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।এই পরিস্থিতিতে একটি নতুন মিডিয়া গঠন করে পূর্ববর্তী মিডিয়াগুলোর সঙ্গে জনসাধারণের ভালোর জন্য কীভাবে ব্যবহার করা উচিত তা বুঝতে একটি দায়িত্বশীল সরকারের প্রয়োজনীয়তা আছে।
নতুন মিডিয়ার আগমন:
বছরের পর বছর ধরে আমরা দেখে এসেছি, বেশ কিছু সাধারণ বক্তব্য খবরের কাগজ বা দেওয়াল লিখনে বা অন্য কোনও মাধ্যমে। মাধ্যম হিসেবে, একটি খবরের কাগজ এক সময়ে একজন মানুষের কাছেই পৌঁছতে পারে। কিন্তু দেওয়াল লিখনের মাধ্যমে তা একাধিক মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে পারে। যে কোনও মাধ্যমেই যা সহজেই বোধগম্য। নতুন মিডিয়ার মধ্যে অন্যতম সংযোজন হল বৈদ্যুতিন মাধ্যম। একইভাবে টেলিফোনে একজনের সঙ্গে একজনের যোগাযোগ করা গেলেও রেডিওতে এর বিস্তার অনেক।
স্বতন্ত্র প্রজাতন্ত্র:
এটা বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, প্রশাসন সবসময় বোঝাতে চাইছে, নজরদারি চালাতে সরকার, কিন্তু নিয়ন্ত্রণ নয়। সামন্ততন্ত্র শাসন থেকে ঔপনিশেবিকতার মধ্যে দিয়ে একটি স্বাধীন সাংবিধানিক গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের আগমন হয়েছিল ভারতে।২০২১ সালে এসে দাঁড়িয়ে কেন্দ্র ফের একবার ফের একবার সেই সময়েই ফিরে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার।এই বিষয়টি বেশ কিছু স্পেশ্যালিস্ট মিডিয়ায় আলোচনাও করা হয়েছে।
পুরনো মিডিয়ার বিশেষ সুবিধা:
নতুন মিডিয়ায় ও নতুন নিউজ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিশেষ সুবিধার কথা বলা হয়েছে। যা খবরের কাগজ, টেলিভিশন বা ফিল্মে নেই। পুরনো দিনের গণমাধ্যমের সেই সুবিধা এর মাধ্যমে ফের দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। আর সবটাই হচ্ছে ইন্টারনেটের সুবিধার কারণে। যেখানে কোনও অনধিকার প্রবেশের জায়গা নেই।
সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন:
বর্তমান শাসক সরকার ক্ষমতায় আসার পরই প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে কেন্দ্রীকরণ করার যে সিদ্ধান্ নেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। একজন সাধারণ মানুষের উপর যদি এভাবে নজরদারি চালানো হয়, তখন তার পক্ষে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াই করা সত্যিই খুব মুশকিল।
দৃষ্টিভঙ্গীর প্রভাব:
রাস্তায় নেমে প্রতিবাদের ভাষা কী হতে পারে, তা এখন দেখছে বিশ্ব। লাখো কৃষকের এই আন্দোলন বিশ্বের নজর কেড়েছে। কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়াই হোক বা ব্যক্তিগত, সবক্ষেত্রেই যখনই সারা বিশ্বের প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করেছে, তখনই নতুন মিডিয়া আইন এনে এই দৃশ্যের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। যা বেসরকারি সংস্থাগুলোর অধিকারও খর্ব করছে বলে মত।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।